ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

দর্শনার কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ১৪ মার্চ

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল, যাচাই-বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন

আওয়াল হোসেন, দর্শনা:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন আগামী ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুছ ছাত্তার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। একই দিন পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। বেলা ১টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। আর বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এরপর প্রতীক নির্ধারণ এবং রাত ৯টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় দেয় নির্বাচন কমিটি।

আগামী ১৪ মার্চ পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুছ ছাত্তার ও নির্বাচন কমিটির সচিব মো. আবু সাঈদ। এর আগে বিগত শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের মেয়াদ শেষ হলে গত ২৫ জানুয়ারি সাধারণ সভার মাধ্যমে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে কেরু চিনিকল এলাকায় ৩ দফা বিস্ফোরণ ও বোমা উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তার কথা ভেবে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী নেতারা এবং কেরু কর্তৃপক্ষ নির্বাচন স্থগিত করেন।

এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৩১ জন প্রার্থী স্বাক্ষরিত একটি পত্র পুনরায় নির্বাচন চেয়ে কেরু কর্তৃপক্ষ ও আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের কাছে পাঠানো হয়। এরপর আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তর গত ৪ মার্চ নির্বাচন করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন এবং বিগত কমিটির ২ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর নির্বাচন কমিটি আগামী ১৪ মার্চ পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেন।
আগামী ১৪ মার্চ নির্বাচনে সভাপতি পদে তৈয়ব আলী (চাঁদ তারা মার্কা) ও ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ (হারিকেন মার্কা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সাধারণ সম্পাদক পদে মনিরুল ইসলাম প্রিন্স (গাড়ির চাকা), জিল্লুর রহমান (বাইসাইকেল), আব্দুল মান্নান (ছাতা), জয়নাল আবেদীন নফর (মই) ও হাফিজুর রহমান (চশমা) মার্কায় ভোটে অংশ নিচ্ছেন।

সহসভাপতির দুটি পদের জন্য লড়াই করবেন এএসএম কবির (মাছ), রেজাউল করিম (হাত পাখা), মফিজুল ইসলাম (চেয়ার) ও সাঈদ আহম্মদ কোদাল), সহ-সাধারণের দুটি পদের জন্য ভোট যুদ্ধে অংশ নেবেন আব্দুল কুদ্দুস (টেবিল), ইসরাফিল হোসেন-১ (গরুর গাড়ি), খবির উদ্দিন (কলস), বাবুল আক্তার (তালাচাবি) ও মোস্তাফিজুর রহমান (গোলাপ ফুল)।

এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য ৩ জন প্রার্থী ভোটে অংশ নিচ্ছেন। এরা হলেন- আরিফুল ইসলাম (কাপ পিরিচ), মমিনুল ইসলাম (সিলিং ফ্যান) ও সেলিম খান (প্রজাপতি)। দপ্তর সম্পাদক পদের জন্য আতিয়ার রহমান (বই) ও সালাহ উদ্দিন (উড়োজাহাজ) মার্কা নিয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রচার সম্পাদক পদের জন্য মিজানুর রহমান (মোরগ) ও রবিউল ইসলাম (কুঁড়েঘর) এবং কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য আবু সাঈদ (কাঁঠাল) ও রেজানুর রহামন (ট্রাক) ভোট যুদ্ধে থাকছেন। এছাড়া ৭টি বিভাগের জন্য ১৫টি সদস্য পদে ৩০ জন প্রার্থী সমগ্র এলাকার ভোটে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে সর্বমোট ২৫ পদের বীপরিতে ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে, গতকাল বেলা ১১টায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় নেমেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দর্শনার কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ১৪ মার্চ

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল, যাচাই-বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন

আপলোড টাইম : ০৮:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

অবশেষে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন আগামী ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুছ ছাত্তার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। একই দিন পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। বেলা ১টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। আর বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এরপর প্রতীক নির্ধারণ এবং রাত ৯টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় দেয় নির্বাচন কমিটি।

আগামী ১৪ মার্চ পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুছ ছাত্তার ও নির্বাচন কমিটির সচিব মো. আবু সাঈদ। এর আগে বিগত শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের মেয়াদ শেষ হলে গত ২৫ জানুয়ারি সাধারণ সভার মাধ্যমে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে কেরু চিনিকল এলাকায় ৩ দফা বিস্ফোরণ ও বোমা উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তার কথা ভেবে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী নেতারা এবং কেরু কর্তৃপক্ষ নির্বাচন স্থগিত করেন।

এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৩১ জন প্রার্থী স্বাক্ষরিত একটি পত্র পুনরায় নির্বাচন চেয়ে কেরু কর্তৃপক্ষ ও আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের কাছে পাঠানো হয়। এরপর আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তর গত ৪ মার্চ নির্বাচন করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন এবং বিগত কমিটির ২ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর নির্বাচন কমিটি আগামী ১৪ মার্চ পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেন।
আগামী ১৪ মার্চ নির্বাচনে সভাপতি পদে তৈয়ব আলী (চাঁদ তারা মার্কা) ও ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ (হারিকেন মার্কা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সাধারণ সম্পাদক পদে মনিরুল ইসলাম প্রিন্স (গাড়ির চাকা), জিল্লুর রহমান (বাইসাইকেল), আব্দুল মান্নান (ছাতা), জয়নাল আবেদীন নফর (মই) ও হাফিজুর রহমান (চশমা) মার্কায় ভোটে অংশ নিচ্ছেন।

সহসভাপতির দুটি পদের জন্য লড়াই করবেন এএসএম কবির (মাছ), রেজাউল করিম (হাত পাখা), মফিজুল ইসলাম (চেয়ার) ও সাঈদ আহম্মদ কোদাল), সহ-সাধারণের দুটি পদের জন্য ভোট যুদ্ধে অংশ নেবেন আব্দুল কুদ্দুস (টেবিল), ইসরাফিল হোসেন-১ (গরুর গাড়ি), খবির উদ্দিন (কলস), বাবুল আক্তার (তালাচাবি) ও মোস্তাফিজুর রহমান (গোলাপ ফুল)।

এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য ৩ জন প্রার্থী ভোটে অংশ নিচ্ছেন। এরা হলেন- আরিফুল ইসলাম (কাপ পিরিচ), মমিনুল ইসলাম (সিলিং ফ্যান) ও সেলিম খান (প্রজাপতি)। দপ্তর সম্পাদক পদের জন্য আতিয়ার রহমান (বই) ও সালাহ উদ্দিন (উড়োজাহাজ) মার্কা নিয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রচার সম্পাদক পদের জন্য মিজানুর রহমান (মোরগ) ও রবিউল ইসলাম (কুঁড়েঘর) এবং কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য আবু সাঈদ (কাঁঠাল) ও রেজানুর রহামন (ট্রাক) ভোট যুদ্ধে থাকছেন। এছাড়া ৭টি বিভাগের জন্য ১৫টি সদস্য পদে ৩০ জন প্রার্থী সমগ্র এলাকার ভোটে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে সর্বমোট ২৫ পদের বীপরিতে ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে, গতকাল বেলা ১১টায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় নেমেছেন।