আখেরি হুইসেল বাজিয়ে দর্শনার কেরুজ চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম সমাপ্ত
গত বছরের থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকার চিনি বেশি উৎপাদনের আশা
- আপলোড টাইম : ১১:১৭:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
- / ৬৪ বার পড়া হয়েছে
আখেরি হুইসেল বাজিয়ে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় দর্শনা কেরুজ চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। কেরু চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মৌসুমে ৬৫ কার্যদিবসে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ৫ শতাংশ চিনি আহরণের হার ধরে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। এ বছর প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ১৫০ টন আখ মাড়াই করেছে চিনিকলটি।
এই মৌসুমে এ অঞ্চলের ৬ হাজার একর জমির মাড়াই যোগ্য আখ সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে কেরু চিনিকলের নিজস্ব জমিতে ২৭ হাজার মেট্রিক টন আখ ছিল। বাকি ৪৩ হাজার মেট্রিক টন আখ মিল এবং সাধারণ কৃষকদের জমি থেকে নেওয়া হয়।
গত বছরের তুলনায় এ বছর ১২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার চিনি উৎপাদন বেশি হবে আশা করছেন কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ। গত বছরের চেয়ে ১৬ হাজার টন আখ বেশি মাড়াই করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে কেরুর নিজস্ব জমিতে আখ ছিল ১ হাজার ৫১৬ একর। বাকি আখ বিভিন্ন মিল এবং এ অঞ্চলের কৃষকদের জমি থেকে পওয়া যায়।
২০২৪-২৫ মাড়াই মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন ২ হাজার ৫৮৭ মেট্রিক টন। সে ক্ষেত্রে অর্জিত হয়েছে ৭২ হাজার ২৩৩ মেট্রিক টন আখ। চিনি উৎপাদন হয়েছে ৩ হাজার ৬১৫ মেট্রিক টন। চিনির মূল্য ৪৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। গত ২০২৩-২৪ বছরের চিনি উৎপাদন হয়েছিল ২ হাজার ৫৮৭ মেট্রিক টন।
উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনি উৎপাদন করে আসছে। এ অঞ্চলের একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে জেলাকে আলোকিত করেছে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। তবে চিনি ছাড়াও এই মদ, ভিনেগার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জৈব সার, চিটাগুড়সহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে। যা দেশের অন্য কোনো মিলে নেই।