ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টাইলস ভেঙে পড়া নিয়ে উদ্বেগ

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্প্রতি শেষ হওয়া সংস্কার কাজের অংশ হিসেবে লাগানো টাইলস একদিনের মাথায় ভেঙে পড়েছে। এতে হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং নিম্নমানের নির্মাণ কাজের অভিযোগ তুলেছেন।

জানা গেছে, ১০ লাখ টাকার প্রকল্পের আওতায় এই সংস্কার কাজটি পেয়েছিল নিশাদ বসু নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে, কাজ শেষ হওয়ার একদিনের মধ্যেই টাইলস ভেঙে পড়ায় এটি নিম্নমানের নির্মাণ কাজের প্রতিফলন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী ইউছুফ হোসেন বলেন, কাজের মধ্যে কিছু ত্রুটি হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। অন্যদিকে, একই দপ্তরের প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি, তবে অভিযোগ সত্য হলে নতুন করে কাজ করা হবে।
এদিকে, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভাত রানী বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের কিছু জানায়নি। তবে, টাইলসসহ অন্যান্য নির্মাণ উপকরণ দ্রুত নষ্ট হচ্ছে, যা নিম্নমানের কাজের ইঙ্গিত দেয়।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে তদন্ত হওয়া উচিত। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় ক্ষতির শিকার হতে পারে হাসপাতালটি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টাইলস ভেঙে পড়া নিয়ে উদ্বেগ

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্প্রতি শেষ হওয়া সংস্কার কাজের অংশ হিসেবে লাগানো টাইলস একদিনের মাথায় ভেঙে পড়েছে। এতে হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং নিম্নমানের নির্মাণ কাজের অভিযোগ তুলেছেন।

জানা গেছে, ১০ লাখ টাকার প্রকল্পের আওতায় এই সংস্কার কাজটি পেয়েছিল নিশাদ বসু নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে, কাজ শেষ হওয়ার একদিনের মধ্যেই টাইলস ভেঙে পড়ায় এটি নিম্নমানের নির্মাণ কাজের প্রতিফলন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী ইউছুফ হোসেন বলেন, কাজের মধ্যে কিছু ত্রুটি হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। অন্যদিকে, একই দপ্তরের প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি, তবে অভিযোগ সত্য হলে নতুন করে কাজ করা হবে।
এদিকে, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভাত রানী বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের কিছু জানায়নি। তবে, টাইলসসহ অন্যান্য নির্মাণ উপকরণ দ্রুত নষ্ট হচ্ছে, যা নিম্নমানের কাজের ইঙ্গিত দেয়।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে তদন্ত হওয়া উচিত। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় ক্ষতির শিকার হতে পারে হাসপাতালটি।