চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাশে দুই আওয়ামী লীগ নেতা
সমালোচনার ঝড়
- আপলোড টাইম : ১০:৩৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
- / ৪৯ বার পড়া হয়েছে
দুই আওয়ামী লীগ নেতার পাশে বসে অতিথি হওয়ায় আলোচনায় এসেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাইফুল্লাহ। সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। গতকাল শনিবার শহরে এক খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে এ রকম দেখার পর থেকে বিষয়টি আলোচনা-সমালোচনায় রয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় অসহায় ও দরিদ্র নারী-পুরুষদের জন্য রমাদান ফুড প্যাকেজ বিতরণ করা হয়। গতকাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে এই আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা ডেভলপমেন্ট ফোরাম নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাইফুল্লাহ। তার পাশেই বিশেষ অতিথি হিসেবে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখা যায়। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠতায় ছিলেন তারা। গত ৫ আগস্টের পর খানিকটা গা ঢাকাও দিয়েছিলেন ওই দুই নেতা। তবে গুঞ্জন রয়েছে বিভিন্নভাবে লিয়াজোঁর মাধ্যমে তারা নব্য বিএনপি হতে চান।
তার মধ্যে একজন ডা. আফসার উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহাবুল ইসলাম সেলিম। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের ক্রীড়া উন্নয়ন প্যানেল প্যানেলে থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি পদে নির্বাচন করেছিলেন। তিনি ফ্যাসিস্ট পদ্ধতিতে সেই নির্বাচনে জয়লাভ করে জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব পালন করেছেন। একটি কলেজের অধ্যক্ষ হওয়া সত্ত্বেও তাকে আওয়ামী লীগের সকল দলীয় আয়োজনে দেখা যেতো এবং তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের মতোই বক্তব্য দিতেন।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলেই পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন এই সেলিম। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সদস্যসচিবের দায়িত্বও পালন করছিলেন। কিছুদিন আগে তার কলেজে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসের একটি তদন্তও চলমান।
এছাড়া ওই অনুষ্ঠানে ইউএনওর সাথে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের আরেক সুবিধাভোগী সালাউদ্দীন বিশ্বাস মিলনকেও দেখা যায়। দীর্ঘ দিন তাকে নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নানা দ্বন্দ্ব আলোচনায় রেখেছিল। প্রায়ই সেসব গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আসতো। সালাউদ্দীন বিশ্বাস মিলনও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের ক্রীড়া উন্নয়ন প্যানেল থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন। তিনিও ফ্যাসিস্ট পদ্ধতিতে সেই নির্বাচনে জয়লাভ করে জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিও চুয়াডাঙ্গা জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সদস্য। আওয়ামী লীগের প্রায় সকল দলীয় আয়োজনে তাকে দেখা যেতো। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ভালো কাজের আমন্ত্রণ পেয়ে আমি গিয়েছিলাম। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আমার জানা ছিল না। যারা দাওয়াত দিয়েছেন, তারা জানেন।’