দর্শনার কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে উত্তাপ
বহু মামলার আসামি সম্পাদক প্রার্থী নফরকে নিয়ে জামায়াতের আপত্তি- আপলোড টাইম : ১০:১৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
- / ৪৮ বার পড়া হয়েছে
কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও কেরুর পার্বতিপুর বন্ডেড ওয়ারহাউজের ইনচার্জ সৌমিক হাসানকে পঞ্চগড় সুগারমিলে বদলির ইস্যু নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। গেল ৬ মার্চ পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের আর মাত্র ৫ দিন বাকি।
তবে আসন্ন কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানের অফিস জামায়াতের নেতা আজিজুল ইসলাম ও ভুট্টোর নেতৃত্বে ঘেরাও করা হয়। তারা সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জয়নাল আবেদীন নফরকে নির্বাচনে অংশ না নিতে দেওয়ার দাবি জানায়।
এসময় এমডির জেনারেল অফিসের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আজিজুল ইসলামের সাথে থাকা কর্মীরা অফিস কক্ষে ঢুকে কেরু এমডি রাব্বিক হাসানকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের দোসরসহ নানা কটুক্তি করেন। একপর্যায় অফিসের নিচে এসে জামায়াত নেতা আজিজুল ইসলাম ভুট্টোকে পাশে নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বহু মামলার আসামি জয়নাল আবেদীন নফর যাতে ভোটে অংশ নিতে না পারে তার দাবি জানালাম। আমরা কেরু শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের নির্বাচনে স্বচ্ছ নেতৃত্ব প্রত্যাশা করি।
এদিকে, নফরের প্রার্থীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেরুর অনেক সাধারণ শ্রমিকেরা। তারা বলছেন সম্পাদক পদপ্রার্থী নফর অস্ত্র ও চোরাচালানের সাথে জড়িত। পাঁচ আগস্টের পরে তাকে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তারও করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও দর্শনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর একের পর এক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কেরু থেকে কয়েক দফায় উদ্ধারকৃত বোমার সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে এমনও সন্দেহ অনেকের।
অন্যদিকে, দর্শনা প্রেসক্লাবের সমনে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় একটি মানববন্ধন করা হয়। মানবন্ধনে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দোসরদের কোনো ঠাঁই হবে না বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে রাব্বিক হাসান বলেন, জামায়াতের একজন নেতা বেশকিছু সহকর্মীসহ এসেছিলেন। আমি তাদের যা বলার বলেছি। ভোট বন্ধ করার অধিকার তো আমার নেই। ভোটের বিষয় সকল নেতৃবৃন্দের। শ্রমিকরা সবাই ভোট চাচ্ছে। ভোট বন্ধ করতে পারে জেডিএল ও প্রশাসন। আমি কি ভোট বন্ধ করতে পারি?