ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রদল নেতা অপু খান আর নেই

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৬:১৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ৯০ দশকের গামা-অপু পরিষদের সাবেক ছাত্রদল নেতা, তৎকালীন জিএস প্রার্থী এবং কলেজ ছাত্র সংসদের একাধিকবার নির্বাচিত নেতা অপু খান পুলক আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। গতকাল শুক্রবার সকালে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে আলমডাঙ্গার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দ্রুত কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সবাইকে কাঁদিয়ে চিরতরে বিদায় নেন তিনি। পুলক কুষ্টিয়ার কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং হারদী খান পরিবারের অন্যতম সদস্য প্রয়াত পিকু খানের একমাত্র ছেলে জামান মোহাম্মদ আলী খান ওরফে পুলক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর।

এদিকে, তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু গভীর শোক প্রকাশ করেন। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা একজন দলপ্রেমিক বড় ভাইকে হারালাম। এটি আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

গতকাল বাদ মাগরিব আলমডাঙ্গা দারুস সালাম ঈদগাহ ময়দানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত ৯টায় গ্রামের বাড়ি হারদীতে দ্বিতীয় জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। নিহতের জানা ও দাফনকার্যে অংশ নেন আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, অ্যাড. মকলেছুর রহমান, মতিয়ার রহমান, সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান ডাবলু, তাপস রশিদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, মোবাসরিফ জামান খান, সাবেক সমাজসেবা অফিসার নাজিবুজ্জামান খান, মীর শফিকুল ইসলাম, হাবিব করিম চঞ্চল, হাসিবুল ইসলাম, উজ্জ্বল খন্দকার, সরকারি কলেজের প্রভাষক গোলাম মোস্তফা, রঞ্জু মিয়া, তৌফিক খান, লালু মিয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য, অপু খান ওরফে পুলক ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। শিক্ষা জীবন শেষে তিনি আলমডাঙ্গার হারদীতে ফিরে এসে ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী, দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রদল নেতা অপু খান আর নেই

আপলোড টাইম : ০৬:১৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ৯০ দশকের গামা-অপু পরিষদের সাবেক ছাত্রদল নেতা, তৎকালীন জিএস প্রার্থী এবং কলেজ ছাত্র সংসদের একাধিকবার নির্বাচিত নেতা অপু খান পুলক আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। গতকাল শুক্রবার সকালে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে আলমডাঙ্গার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দ্রুত কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সবাইকে কাঁদিয়ে চিরতরে বিদায় নেন তিনি। পুলক কুষ্টিয়ার কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং হারদী খান পরিবারের অন্যতম সদস্য প্রয়াত পিকু খানের একমাত্র ছেলে জামান মোহাম্মদ আলী খান ওরফে পুলক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর।

এদিকে, তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু গভীর শোক প্রকাশ করেন। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা একজন দলপ্রেমিক বড় ভাইকে হারালাম। এটি আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

গতকাল বাদ মাগরিব আলমডাঙ্গা দারুস সালাম ঈদগাহ ময়দানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত ৯টায় গ্রামের বাড়ি হারদীতে দ্বিতীয় জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। নিহতের জানা ও দাফনকার্যে অংশ নেন আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, অ্যাড. মকলেছুর রহমান, মতিয়ার রহমান, সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান ডাবলু, তাপস রশিদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, মোবাসরিফ জামান খান, সাবেক সমাজসেবা অফিসার নাজিবুজ্জামান খান, মীর শফিকুল ইসলাম, হাবিব করিম চঞ্চল, হাসিবুল ইসলাম, উজ্জ্বল খন্দকার, সরকারি কলেজের প্রভাষক গোলাম মোস্তফা, রঞ্জু মিয়া, তৌফিক খান, লালু মিয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য, অপু খান ওরফে পুলক ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। শিক্ষা জীবন শেষে তিনি আলমডাঙ্গার হারদীতে ফিরে এসে ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী, দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।