ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনী কমিটি নিয়ে ধোঁয়াশা

নির্বাচন কমিটিতে পরিবর্তন চায় না এক পক্ষ

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৬:১৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সব দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কমিটি ও বিরোধী পক্ষের সমন্বয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়ে আসছে। তবে ২০২৫ সালের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিজেদের ইচ্ছামতো গঠন করা হয়েছে-এমন অভিযোগ উঠেছে কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি ও বিরোধী দলের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন কমিটি গঠিত হয়, যেখানে কেরুজ ইউনিয়নের সভাপতির স্বাক্ষর ছিল। তবে বিশেষ কারণে ওই কমিটির মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়নি। এরপর গত ৬ মার্চ নতুনভাবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলে আগের কমিটি থেকে একজনকে বাদ দিয়ে পরিবর্তন আনা হয়। অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচিত প্রতিনিধি বা বিরোধী পক্ষের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অবৈধ। এ ঘটনায় শ্রমিক ও কর্মচারী নেতাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে গত ৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে স্মারক নং ৪০.০২.৫০০০.০০০.৩০৯৩৪.০০১৩.২২-১৪৯ মোতাবেক কুষ্টিয়া আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) মো. তৌফিক হোসেনের একটি চিঠি ইস্যু করেন।

এ বিষয়ে কমিটির সর্বশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অবৈধ বা বাতিল করা হলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈধতা থাকবে কীভাবে? নতুন নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে কে?’ তাদের দাবি, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আগের কমিটিকেই দায়িত্ব পালন করতে দিতে হবে। এছাড়াও কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন-২০২৫ নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিতর্ক এড়াতে আগের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সভাপতি সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ।

এ বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমি শুধু একজন নতুন সদস্য নিয়েছি, যা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানের অনুমোদনেই করা হয়েছে।’ তবে এই পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনী কমিটি নিয়ে ধোঁয়াশা

নির্বাচন কমিটিতে পরিবর্তন চায় না এক পক্ষ

আপলোড টাইম : ০৬:১৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সব দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কমিটি ও বিরোধী পক্ষের সমন্বয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়ে আসছে। তবে ২০২৫ সালের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিজেদের ইচ্ছামতো গঠন করা হয়েছে-এমন অভিযোগ উঠেছে কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি ও বিরোধী দলের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন কমিটি গঠিত হয়, যেখানে কেরুজ ইউনিয়নের সভাপতির স্বাক্ষর ছিল। তবে বিশেষ কারণে ওই কমিটির মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়নি। এরপর গত ৬ মার্চ নতুনভাবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলে আগের কমিটি থেকে একজনকে বাদ দিয়ে পরিবর্তন আনা হয়। অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচিত প্রতিনিধি বা বিরোধী পক্ষের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অবৈধ। এ ঘটনায় শ্রমিক ও কর্মচারী নেতাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে গত ৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে স্মারক নং ৪০.০২.৫০০০.০০০.৩০৯৩৪.০০১৩.২২-১৪৯ মোতাবেক কুষ্টিয়া আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) মো. তৌফিক হোসেনের একটি চিঠি ইস্যু করেন।

এ বিষয়ে কমিটির সর্বশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অবৈধ বা বাতিল করা হলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈধতা থাকবে কীভাবে? নতুন নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে কে?’ তাদের দাবি, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আগের কমিটিকেই দায়িত্ব পালন করতে দিতে হবে। এছাড়াও কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন-২০২৫ নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিতর্ক এড়াতে আগের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সভাপতি সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ।

এ বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমি শুধু একজন নতুন সদস্য নিয়েছি, যা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানের অনুমোদনেই করা হয়েছে।’ তবে এই পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে।