ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

সৎ মায়ের হিংসার বলি শিশু মাহমুদা; থানায় অভিযোগ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৫:০২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুরে সৎ মায়ের প্রতিহিংসার বিষে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মাহমুদা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে শাহিন আলম বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন। গত ১ মার্চ কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামে হুমাইরা খাতুন বন্যা শিশু মাহমুদাকে কোমলপানীর সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ৬দিন পর গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থ্য় দুপুরে মাহমুদার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন মাহমুদাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশু মাহমুদা ভোমরাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ও শাহিন আলমের মেয়ে।

জানা গেছে, শিশু মাহমুদা ভুমিষ্ট হওয়ার সময় তার মা আফরোজা মৃত্যুবরণ করেন। ছয় মাস পূর্বে তার পিতা শাহিন আলম নামে আরেক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর এজাহারের উদ্বৃতি দিয়ে জানান, প্রথম স্ত্রী মারা গেলে মামলার বাদী শাহিন আলম বিদেশ থাকা অবস্থায় মোবাইলে ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়েকে সাথে বিবাহ করেন। ওসি আরো জানান, ‘গত ৭ জানুয়ারি শাহিন আলম বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রী হিসেবে বন্যাকে ঘরে তুলে নেন। কিছু দিন পর মেয়ে মাহমুদাকে নিয়ে শুরু হয় তাদের মধ্যে কলহ। এ ঘটনার জের ধরে গত শনিবার (১ মার্চ) মাহমুদাকে কৌশলে কমল পানির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পান করায়।

সখিনা খাতুন নামে স্থানীয় এক নারী জানান, বিষ খাওয়ানোর পর মাহমুদা মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নেয়া হয়।

প্রতিবেশিরা জানায় মাহমুদা মৃত্যুর আগে তাকে তার সৎ মা বন্যা খাতুন জোর করে বিষ পান করিয়েছেন বলে স্বজনদের জানিয়ে গেছে।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘শিশু মাহমুদা হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় বাদি হয়েছেন শিশুটির পিতা। ওই মামলায় মাহমুদার সৎ মাকে আসামি করা হয়েছে।’ পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলেও জানান থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

সৎ মায়ের হিংসার বলি শিশু মাহমুদা; থানায় অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৫:০২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুরে সৎ মায়ের প্রতিহিংসার বিষে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মাহমুদা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে শাহিন আলম বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন। গত ১ মার্চ কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামে হুমাইরা খাতুন বন্যা শিশু মাহমুদাকে কোমলপানীর সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ৬দিন পর গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থ্য় দুপুরে মাহমুদার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন মাহমুদাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশু মাহমুদা ভোমরাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ও শাহিন আলমের মেয়ে।

জানা গেছে, শিশু মাহমুদা ভুমিষ্ট হওয়ার সময় তার মা আফরোজা মৃত্যুবরণ করেন। ছয় মাস পূর্বে তার পিতা শাহিন আলম নামে আরেক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর এজাহারের উদ্বৃতি দিয়ে জানান, প্রথম স্ত্রী মারা গেলে মামলার বাদী শাহিন আলম বিদেশ থাকা অবস্থায় মোবাইলে ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়েকে সাথে বিবাহ করেন। ওসি আরো জানান, ‘গত ৭ জানুয়ারি শাহিন আলম বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রী হিসেবে বন্যাকে ঘরে তুলে নেন। কিছু দিন পর মেয়ে মাহমুদাকে নিয়ে শুরু হয় তাদের মধ্যে কলহ। এ ঘটনার জের ধরে গত শনিবার (১ মার্চ) মাহমুদাকে কৌশলে কমল পানির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পান করায়।

সখিনা খাতুন নামে স্থানীয় এক নারী জানান, বিষ খাওয়ানোর পর মাহমুদা মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নেয়া হয়।

প্রতিবেশিরা জানায় মাহমুদা মৃত্যুর আগে তাকে তার সৎ মা বন্যা খাতুন জোর করে বিষ পান করিয়েছেন বলে স্বজনদের জানিয়ে গেছে।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘শিশু মাহমুদা হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় বাদি হয়েছেন শিশুটির পিতা। ওই মামলায় মাহমুদার সৎ মাকে আসামি করা হয়েছে।’ পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলেও জানান থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।