ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

শৈলকুপায় মৎস্য ঘেরে ফের স্বসস্ত্র ডাকাত দলের হানা

গ্রামবাসীর ধাওয়ায় পলায়ন, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একটি মৎস্য ঘেরে ফের ডাকাতদের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের রুপদাহ-ব্যাসপুর এলাকার লাল্টু বিশ্বাসের ঘেরে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতেও এই ঘেরটিতে ডাকাতেরা আক্রমণ করে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। উপায়ন্ত না পেয়ে ভুক্তভোগী শৈলকুপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা যায়, গত বুধবার গভীর রাতে লাল্টু বিশ্বাসের মাছের ঘের, গরুর খামার ও মুরগির শেডে একদল ডাকাত হানা দেয়। এসময় ডাকাত দল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে গরুর খামার ও মুরগীর শেডের চাবি চান ডাকাত দলের সদস্যরা। তা না দিলে দরজা ভাঙতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ দিতে থাকেন ডাকাত দল। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা ঘেরের মালিককে ফোন দিলে শতাধিক গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘেরের দিকে আসতে থাকেন। বিপদ বুঝে চম্পট দেয় ডাকাত দল। পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ডাকাত দল এই খামারটিতে হানা দেয়। দরজা ভেঙে অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তাকর্মী আলামিনকে জিম্মি করে গরুর খামারে লাগানো তালার চাবি নেয় ডাকাত দল। পরে সেখান থেকে ৩টি গরু বের করে চলে যাওয়ার পথে জিম্মি হওয়া আলামিন সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে ঘের মালিককে ফোন দেন। এসময় এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে আসলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, বিগত কয়েক মাস ধরে এলাকাটিতে ডাকাত দল প্রভাব বিস্তার করে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। ফলে এলাকাটিতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘেরের মালিক লাল্টু বিশ্বাস বলেন, ‘পরপর দুবার আমার ঘেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘেরের মাছ, গরুসহ লাখ লাখ টাকার সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমনকি নিরাপত্তাকর্মীদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমন চলতে থাকলে এখানে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে ডাকাত দল পুরো গ্রামটিতেই এমন লুটপাটের ঘটনা ঘটাবে।’

এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, ‘ডাকাতির বিষয়ে এখনও আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি ভুক্তভোগী অভিযোগ দেয়, তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

শৈলকুপায় মৎস্য ঘেরে ফের স্বসস্ত্র ডাকাত দলের হানা

গ্রামবাসীর ধাওয়ায় পলায়ন, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক

আপলোড টাইম : ০৯:১৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একটি মৎস্য ঘেরে ফের ডাকাতদের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের রুপদাহ-ব্যাসপুর এলাকার লাল্টু বিশ্বাসের ঘেরে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতেও এই ঘেরটিতে ডাকাতেরা আক্রমণ করে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। উপায়ন্ত না পেয়ে ভুক্তভোগী শৈলকুপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা যায়, গত বুধবার গভীর রাতে লাল্টু বিশ্বাসের মাছের ঘের, গরুর খামার ও মুরগির শেডে একদল ডাকাত হানা দেয়। এসময় ডাকাত দল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে গরুর খামার ও মুরগীর শেডের চাবি চান ডাকাত দলের সদস্যরা। তা না দিলে দরজা ভাঙতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ দিতে থাকেন ডাকাত দল। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা ঘেরের মালিককে ফোন দিলে শতাধিক গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘেরের দিকে আসতে থাকেন। বিপদ বুঝে চম্পট দেয় ডাকাত দল। পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ডাকাত দল এই খামারটিতে হানা দেয়। দরজা ভেঙে অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তাকর্মী আলামিনকে জিম্মি করে গরুর খামারে লাগানো তালার চাবি নেয় ডাকাত দল। পরে সেখান থেকে ৩টি গরু বের করে চলে যাওয়ার পথে জিম্মি হওয়া আলামিন সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে ঘের মালিককে ফোন দেন। এসময় এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে আসলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, বিগত কয়েক মাস ধরে এলাকাটিতে ডাকাত দল প্রভাব বিস্তার করে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। ফলে এলাকাটিতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘেরের মালিক লাল্টু বিশ্বাস বলেন, ‘পরপর দুবার আমার ঘেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘেরের মাছ, গরুসহ লাখ লাখ টাকার সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমনকি নিরাপত্তাকর্মীদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমন চলতে থাকলে এখানে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে ডাকাত দল পুরো গ্রামটিতেই এমন লুটপাটের ঘটনা ঘটাবে।’

এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, ‘ডাকাতির বিষয়ে এখনও আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি ভুক্তভোগী অভিযোগ দেয়, তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’