ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহের ৯৭ হাজার পরিবার পাচ্ছে কম মূল্যের টিসিবির পণ্য

রমজানে নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে ফিরছে স্বস্তি

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • / ৫৩ বার পড়া হয়েছে

মাহে রমজান উপলক্ষে কম মূল্যে টিসিবির পণ্য পাচ্ছে ঝিনাইদহের ৯৭ হাজার ৫০৫টি পরিবার। এর মধ্যে ৯৫ হাজার ৫০৫টি পরিবারকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝিনাইদহ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ৫টি স্পটে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বর, আরাপপুর ও হামদহ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকে করে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা/বুট ও মসুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। কম মূল্যে এসব পণ্য নেওয়ার জন্য নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ছে। ঝিনাইদহ শহরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকায় পণ্য বিক্রি শুরু হয় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায়। একই সময় শহরের আরাপপুর, হামদহ, ওয়াজির আলী হাইস্কুল ময়দানসহ ৫টি স্পটে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।

ঝিনাইদহ টিসিবি ডিপোর সহকারী পরিচালক আকরাম হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে প্রতিদিন দুই হাজার পরিবারের মাঝে নিত্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া টিসিবির নির্ধারিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ঝিনাইদহের ইউনিয়ন পর্যায়ে ৯৫ হাজার ৫০৫টি পরিবারের মাঝে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে দুই কেজি সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও এক কেজি ছোলা/বুট দেয়া হচ্ছে। দাম পড়ছে ৪৫০ টাকা। তবে টিসিবির কার্ডধারী নয় এমন ব্যক্তিরা কেবল দুই কেজি ছোলা/বুট পাচ্ছেন।

টিসিবির পণ্য কিনতে আসা ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহরপাড়ার মর্জিনা খাতুন বলেন, রমজান মাসে টিসিবির পণ্যগুলো পেয়ে আমাদের একটু উপকার হয়। আমরা চাই, এই মাল যেন গরিব মানুষ পায়। ব্যাপারীপাড়ার তহুরা খাতুন জানান, টিসিবি পণ্য তাদের মাহে রমজানে আরামদায়ক স্বস্তি দিয়েছে। কম টাকায় তারা পণ্য পেয়ে খুশি।

টিসিবি ডিপোর সহকারী পরিচালক আকরাম হোসেন অভিযোগ করেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কিছু জায়গায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে টিসিবির কার্ড বা পণ্য ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটছে। এরকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, সরকার দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে টিসিবির এই পণ্যগুলো পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা সবাই মিলে এটি বাস্তবায়ন করতে চাই। জেলাব্যাপী টিসিবির পণ্য বিতরণের লক্ষ্যে প্রত্যেকটি জায়গায় কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কোথাও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পেলে আমরা সাথে সাথে সেখানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই উদ্যোগটি সফল করতে তিনি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহের ৯৭ হাজার পরিবার পাচ্ছে কম মূল্যের টিসিবির পণ্য

রমজানে নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে ফিরছে স্বস্তি

আপলোড টাইম : ০৯:১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

মাহে রমজান উপলক্ষে কম মূল্যে টিসিবির পণ্য পাচ্ছে ঝিনাইদহের ৯৭ হাজার ৫০৫টি পরিবার। এর মধ্যে ৯৫ হাজার ৫০৫টি পরিবারকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝিনাইদহ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ৫টি স্পটে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বর, আরাপপুর ও হামদহ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকে করে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা/বুট ও মসুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। কম মূল্যে এসব পণ্য নেওয়ার জন্য নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ছে। ঝিনাইদহ শহরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকায় পণ্য বিক্রি শুরু হয় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায়। একই সময় শহরের আরাপপুর, হামদহ, ওয়াজির আলী হাইস্কুল ময়দানসহ ৫টি স্পটে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।

ঝিনাইদহ টিসিবি ডিপোর সহকারী পরিচালক আকরাম হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে প্রতিদিন দুই হাজার পরিবারের মাঝে নিত্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া টিসিবির নির্ধারিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ঝিনাইদহের ইউনিয়ন পর্যায়ে ৯৫ হাজার ৫০৫টি পরিবারের মাঝে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে দুই কেজি সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও এক কেজি ছোলা/বুট দেয়া হচ্ছে। দাম পড়ছে ৪৫০ টাকা। তবে টিসিবির কার্ডধারী নয় এমন ব্যক্তিরা কেবল দুই কেজি ছোলা/বুট পাচ্ছেন।

টিসিবির পণ্য কিনতে আসা ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহরপাড়ার মর্জিনা খাতুন বলেন, রমজান মাসে টিসিবির পণ্যগুলো পেয়ে আমাদের একটু উপকার হয়। আমরা চাই, এই মাল যেন গরিব মানুষ পায়। ব্যাপারীপাড়ার তহুরা খাতুন জানান, টিসিবি পণ্য তাদের মাহে রমজানে আরামদায়ক স্বস্তি দিয়েছে। কম টাকায় তারা পণ্য পেয়ে খুশি।

টিসিবি ডিপোর সহকারী পরিচালক আকরাম হোসেন অভিযোগ করেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কিছু জায়গায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে টিসিবির কার্ড বা পণ্য ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটছে। এরকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, সরকার দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে টিসিবির এই পণ্যগুলো পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা সবাই মিলে এটি বাস্তবায়ন করতে চাই। জেলাব্যাপী টিসিবির পণ্য বিতরণের লক্ষ্যে প্রত্যেকটি জায়গায় কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কোথাও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পেলে আমরা সাথে সাথে সেখানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই উদ্যোগটি সফল করতে তিনি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।