ইফতারের পর বেচে যাওয়া দুই কোয়া কমলা লেবু খাওয়ায়
মাদ্রাসা ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে পেটালেন শিক্ষক- আপলোড টাইম : ০৯:২০:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
- / ৯৩ বার পড়া হয়েছে
ইফতার শেষে বেচে যাওয়া দুই কোয়া কমলা লেবু মুখে দিয়েছিল সাগর হোসেন নামের এক কিশোর মাদ্রাসা ছাত্র। এতেই ক্ষিপ্ত হন শিক্ষক হাফেজ ইমরান হাওলাদার। লেবু খাওয়ার অপরাধে কিশোর সাগরকে ডেকে হাত-পা বেঁধে নির্মম ও নির্দয়ভাবে পিটিয়ে জখম করেন তিনি। বেধড়ক পেটানোর ফলে সাগরের পিট ফুলে রক্ত জমে গেছে। অবশেষে তাকে ভর্তি করা হয় ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নিজমথুরাপুর আদর্শ ইয়াতিমখানা মাদ্রাসায়। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ইমরান হাওলাদার পলাতক রয়েছেন।
এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন জানান, গত সোমবার এক ব্যক্তি এতিমখানার শিশু-কিশোরদের জন্য ইফতার আয়োজন করেন। ইফতার শেষে কিছু কমলা লেবু বেচে যায়। সেখান থেকে এক কিশোর ছাত্র দুই কোয়া কমলা খেয়ে ফেলে। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল বুধবার সকালে শিক্ষক হাফেজ ইমরান হাওলাদার ওই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করেন। ঘটনাটি জানার পর এতিমখানা পরিচালনা কমিটি বৈঠকে বসে এবং শিক্ষক ইমরান হাওলাদারকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। সভাপতি আলাউদ্দিন আরও জানান, নির্যাতিত ছাত্রকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পর এলাকাবাসী এতিমখানায় এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। নির্যাতিত ছাত্রের সহপাঠীরা জানায়, শিক্ষক লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন, যার কারণে তার শরীরে লাল দাগ পড়ে গেছে। এলাকার সাবেক কাউন্সিলর মহিউদ্দীন জানান, কিশোর ছাত্রকে যেভাবে পেটানো হয়েছে, তা সভ্য সমাজে হয় না। তিনি লোকমুখে এমন ঘটনা শুনে হতাশ হয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।