ইপেপার । আজ শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

শৈলকুপায় আলোচিত ট্রিপল মার্ডার, র‌্যাবের হাতে আটক তোফাজ্জেল

১২ দিন পরও অধরা কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া চরমপন্থিরা

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:১২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / ৬৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার হানিফসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল মঙ্গলবার র‌্যাব-৬ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে এ হত্যা মামলায় র‌্যাব গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ শহরের সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে সন্ত্রাসী মো. আবু সাঈদ ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরের সোনাতলা এলাকা থেকে আনারুল ইসলাম ও রাজ নামে দুজনকে আটক করে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল ভোর রাতে একটি আভিযানিক দল ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শিংনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার পিয়ারপুর গ্রামের আলী মণ্ডলের ছেলে তোফাজ্জল হোসেনকে (৫৩) আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শৈলকুপা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। র‌্যাব জানায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকায় গুলি করে বেআইনি সংগঠন পূর্ব বাংলার সামরিক কমান্ডার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানিফ ওরফে হানেফ, তার শ্যালক ও সহযোগী শ্রীরামপুর গ্রামের মো. লিটন হোসেন এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম রাজুকে হত্যা করে। হত্যার পর ‘কালু বাহিনী’ নাম ব্যবহার করে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দায় স্বীকার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত হানিফের ভাই মো. সাজেদুল ইসলাম ইশা বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব আরও জানায়, নিহত হানিফ ও তার ভাই সাজেদুল ইসলাম ইশা গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দী বাওড় ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং উক্ত বাওড়ের দখল নিয়েই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ও প্রকৃত পরিকল্পনাকারীদের এখনো শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চরমপন্থি অধ্যুষিত ঝিনাইদহে নবীন পুলিশ ও র‌্যাব কর্মকর্তারা কিলিং মিশনের সূত্র খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। গোয়েন্দা বিভাগও ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, কারণ বর্তমান কর্মকর্তারা এই অঞ্চলের আন্ডারওয়ার্ল্ড সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য জানেন না। ফলে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ডে কারা অংশ নিয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৬-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. নাঈম আহম্মেদ বলেন, ‘আটক ব্যক্তিরা সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি দলের সদস্য। তবে তারা এই ট্রিপল মার্ডারে সরাসরি অংশ নিয়েছিল কি না, তা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

শৈলকুপায় আলোচিত ট্রিপল মার্ডার, র‌্যাবের হাতে আটক তোফাজ্জেল

১২ দিন পরও অধরা কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া চরমপন্থিরা

আপলোড টাইম : ১০:১২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার হানিফসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল মঙ্গলবার র‌্যাব-৬ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে এ হত্যা মামলায় র‌্যাব গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ শহরের সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে সন্ত্রাসী মো. আবু সাঈদ ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরের সোনাতলা এলাকা থেকে আনারুল ইসলাম ও রাজ নামে দুজনকে আটক করে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল ভোর রাতে একটি আভিযানিক দল ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শিংনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার পিয়ারপুর গ্রামের আলী মণ্ডলের ছেলে তোফাজ্জল হোসেনকে (৫৩) আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শৈলকুপা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। র‌্যাব জানায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকায় গুলি করে বেআইনি সংগঠন পূর্ব বাংলার সামরিক কমান্ডার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানিফ ওরফে হানেফ, তার শ্যালক ও সহযোগী শ্রীরামপুর গ্রামের মো. লিটন হোসেন এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম রাজুকে হত্যা করে। হত্যার পর ‘কালু বাহিনী’ নাম ব্যবহার করে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দায় স্বীকার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত হানিফের ভাই মো. সাজেদুল ইসলাম ইশা বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব আরও জানায়, নিহত হানিফ ও তার ভাই সাজেদুল ইসলাম ইশা গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দী বাওড় ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং উক্ত বাওড়ের দখল নিয়েই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ও প্রকৃত পরিকল্পনাকারীদের এখনো শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চরমপন্থি অধ্যুষিত ঝিনাইদহে নবীন পুলিশ ও র‌্যাব কর্মকর্তারা কিলিং মিশনের সূত্র খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। গোয়েন্দা বিভাগও ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, কারণ বর্তমান কর্মকর্তারা এই অঞ্চলের আন্ডারওয়ার্ল্ড সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য জানেন না। ফলে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ডে কারা অংশ নিয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৬-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. নাঈম আহম্মেদ বলেন, ‘আটক ব্যক্তিরা সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি দলের সদস্য। তবে তারা এই ট্রিপল মার্ডারে সরাসরি অংশ নিয়েছিল কি না, তা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’