ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে চলে গেলেন এসিল্যান্ড
জীবননগরে কাপড়ে দোকানে টাস্কফোর্সের অভিযান চলাকালে উত্তেজনা
- আপলোড টাইম : ১০:০০:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
- / ৩৮ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর পৌর শহরে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে অভিযানে এসেছিলেন জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দজাদী মাহ্বুবা মঞ্জুর মৌনা। তবে ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে তিনি জরিমানা না করে চলে যেতে বাধ্য হন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল বিকেলে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে মায়া গেঞ্জি নামের এক গার্মেন্টসের দোকানে অভিযান শুরু করেন জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দজাদী মাহ্বুবা মঞ্জুর মৌনা। এসময় কিছু ভারতীয় পণ্যের ভাউচারে সমস্যা দেখতে পান এসিল্যান্ড। অবৈধভাবে ভারতীয় পণ্য রাখার অপরাধে তিনি জরিমানা করতে গেলে পাশের কয়েকজন দোকানদার প্রতিবাদ করেন।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শক্ত অবস্থান নিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তবে পরে বাজারের কয়েকশ ব্যবসায়ী জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে জরিমানা না করে চলে যেতে বাধ্য হন ওই কর্মকর্তা। এসময় পিছন থেকে নারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে উদ্দেশ্য করে কটূ কথা বলতেও শোনা যায়।
এদিকে, জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দজাদী মাহ্বুবা মঞ্জুর মৌনা জরিমানা না করে চলে যাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ঈদের আগে বাজারে অভিযান না চালানোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দজাদী মাহ্বুবা মঞ্জুর মৌনা বলেন, এটি মূলত টাস্কফোর্সের অভিযান ছিল। বিজিবির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে গিয়ে সেখানে ভারতীয় শাড়ি আছে, এমন সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেখানে একটা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পরে ব্যবসায়ীরা ইউএনওসহ আমাদের সঙ্গে বসেছিল। সেখানে ঈদের আগে কাপড়ের দোকানে অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চলবে। আর বিজিবিকে সীমান্তে এসব চোরাচালান বন্ধে জোরালো ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।