ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

গড়াই নদীতে কুমির দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৬:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীতে মিঠাপানির কুমিরের দেখা মিলেছে। প্রায় প্রতিদিন একটি নয়, দুটি নয় একাধিক কুমির ভেসে বেড়াচ্ছে। বড় বড় এসব কুমির দেখতে আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনবার কুমির দেখতে পায় নদীপাড়ের মানুষ। শৈলকূপার হাকিমপুর ইউনিয়নের খুলুমবাড়িয়া অংশে এসব কুমির ভেসে বেড়াচ্ছে। এতে মৎস্যজীবীরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটালেও পরিবেশবিদরা বলছেন, ভালো পরিবেশ পাওয়ায় হয়ত গড়াই নদীতে কুমির বংশ বিস্তারসহ এখানে বসবাস করছেন।

খুলুমবাড়িয়া গ্রামের আসালত মোল্লাহ জানান, গতকাল সোমবার সকালে খুলুমবাড়ী ও পাংশার কেওয়া গ্রামের অংশে গড়াই নদীতে কুমির ভেসে ওঠে। কুমির আসার খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছেলে-মেয়ে ও বয়স্ক ব্যক্তিরা নদীপাড়ে ভিড় জমাতে থাকেন। অনেককে ড্রোন ক্যামেরা নিয়ে এসে ভিডিও করতে দেখা গেছে। শ্রী মেঘমালা রানী জানান, ‘অনেক দিন ধরে কুমির দেখার সংবাদ শুনছি। তাই আজ কুমির দেখতে এসেছি। তবে চোখে দেখতে না পারলেও ড্রোন ক্যামেরায় দেখেছি।’
মাদলা গ্রামের আওলাদ হোসেন জানান, প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে এখানে কুমিরগুলো দেখা যাচ্ছে। বড় কুমির ছাড়াও তার সঙ্গে ছোট ছোট বাচ্চাও আছে। তিনি বলেন, নদীর এই স্থানে প্রচুর মাছ হয়। এ কারণে হয়ত কুমিরগুলো এখানে স্থায়ীভাবে ঘাটি করেছে। গড়াই নদীতে প্রতিদিন শতশত মানুষ গোসল করেন ও মাছ ধরেন। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে।

ঝিনাইদহ বন বিভাগের জোনাল অফিসার খোন্দকার গিয়াস উদ্দীন মুকুল বলেন, গড়াই নদীতে কুমির দেখার খবরটি তিনিও জানতে পেয়েছেন। এটা পরিবেশের জন্য একটা ভালো খবর। নদীতে কুমির থাকবে, মাছ থাকবে জীব-বৈচিত্র্যের আরও অনেক কিছুই থাকবে। এটা আগে ছিল। আমরাই আশা করি, নদীর আগের রূপ ফিরে আসুক। তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে হয়ত কুমিরগুলো এসেছিল। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশে পাওয়ায় তারা যায়নি, স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। শুনছি বাচ্চাও দিয়েছে। তিনি নদীপাড়ের মানুষকে কুমিরগুলোকে উত্ত্যক্ত বা আঘাত না করার পরামর্শ দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গড়াই নদীতে কুমির দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

আপলোড টাইম : ০৬:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীতে মিঠাপানির কুমিরের দেখা মিলেছে। প্রায় প্রতিদিন একটি নয়, দুটি নয় একাধিক কুমির ভেসে বেড়াচ্ছে। বড় বড় এসব কুমির দেখতে আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনবার কুমির দেখতে পায় নদীপাড়ের মানুষ। শৈলকূপার হাকিমপুর ইউনিয়নের খুলুমবাড়িয়া অংশে এসব কুমির ভেসে বেড়াচ্ছে। এতে মৎস্যজীবীরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটালেও পরিবেশবিদরা বলছেন, ভালো পরিবেশ পাওয়ায় হয়ত গড়াই নদীতে কুমির বংশ বিস্তারসহ এখানে বসবাস করছেন।

খুলুমবাড়িয়া গ্রামের আসালত মোল্লাহ জানান, গতকাল সোমবার সকালে খুলুমবাড়ী ও পাংশার কেওয়া গ্রামের অংশে গড়াই নদীতে কুমির ভেসে ওঠে। কুমির আসার খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছেলে-মেয়ে ও বয়স্ক ব্যক্তিরা নদীপাড়ে ভিড় জমাতে থাকেন। অনেককে ড্রোন ক্যামেরা নিয়ে এসে ভিডিও করতে দেখা গেছে। শ্রী মেঘমালা রানী জানান, ‘অনেক দিন ধরে কুমির দেখার সংবাদ শুনছি। তাই আজ কুমির দেখতে এসেছি। তবে চোখে দেখতে না পারলেও ড্রোন ক্যামেরায় দেখেছি।’
মাদলা গ্রামের আওলাদ হোসেন জানান, প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে এখানে কুমিরগুলো দেখা যাচ্ছে। বড় কুমির ছাড়াও তার সঙ্গে ছোট ছোট বাচ্চাও আছে। তিনি বলেন, নদীর এই স্থানে প্রচুর মাছ হয়। এ কারণে হয়ত কুমিরগুলো এখানে স্থায়ীভাবে ঘাটি করেছে। গড়াই নদীতে প্রতিদিন শতশত মানুষ গোসল করেন ও মাছ ধরেন। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে।

ঝিনাইদহ বন বিভাগের জোনাল অফিসার খোন্দকার গিয়াস উদ্দীন মুকুল বলেন, গড়াই নদীতে কুমির দেখার খবরটি তিনিও জানতে পেয়েছেন। এটা পরিবেশের জন্য একটা ভালো খবর। নদীতে কুমির থাকবে, মাছ থাকবে জীব-বৈচিত্র্যের আরও অনেক কিছুই থাকবে। এটা আগে ছিল। আমরাই আশা করি, নদীর আগের রূপ ফিরে আসুক। তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে হয়ত কুমিরগুলো এসেছিল। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশে পাওয়ায় তারা যায়নি, স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। শুনছি বাচ্চাও দিয়েছে। তিনি নদীপাড়ের মানুষকে কুমিরগুলোকে উত্ত্যক্ত বা আঘাত না করার পরামর্শ দেন।