ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

দর্শনায় পেটে বাছুরসহ গাভী জবাই করে মাংস বিক্রি

এলাকাবাসীর ক্ষোভে পালালো কসাইরা

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:২৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

দর্শনায় পবিত্র রমজানের প্রথম দিনে বাছুরসহ গাভী জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে দর্শনা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বাজার থেকে সেই মাংস উদ্ধার করে মাটিতে পুঁতে ফেলেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে দর্শনা চটকাতলার কসাই ফুলচাঁনের ছেলে রফিক কসাইয়ের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।

জানা গেছে, দর্শনা পিলখানায় কসাই শুকুর আলী, কালু, শামীম, মামুন, রফিক ও সাজসহ ৫-৬ জন মিলে একটি গাভী জবাই করেন। পরে গাভীর পেটে একটি বাছুর পাওয়া গেলে তারা সেটি পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে দেন। এরপর তারা গাভীর মাংস বাজারে বিক্রি করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয়রা বাছুরটি উদ্ধার করে বাজারে নিয়ে আসেন। সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্ত কসাইরা কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় বাজারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কসাইদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

পরে দর্শনা থানা পুলিশ বাছুরসহ জবাইকৃত গাভীর মাংস উদ্ধার করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দর্শনা ও আশপাশের এলাকায় অসাধু কসাইরা নিয়মিতভাবে অসুস্থ গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ জবাই করে সেই মাংস বাজারে বিক্রি করছে। এছাড়া অধিক মুনাফার আশায় গরুর মাংসের সঙ্গে মহিষের মাংস এবং ছাগলের মাংসের সঙ্গে অন্য মাংস মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, অনেক কসাই আগের দিনের মাংস ফ্রিজে রেখে পরের দিন বা দুই-তিন দিন পরও তা নতুন মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করছে। গত ১৪ জানুয়ারি দর্শনা বাজারে নাসির কসাইকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। স্থানীয়রা এমন ঘটনা রোধে বাজার মনিটরিং বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। তারা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনারও দাবি করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দর্শনায় পেটে বাছুরসহ গাভী জবাই করে মাংস বিক্রি

এলাকাবাসীর ক্ষোভে পালালো কসাইরা

আপলোড টাইম : ১০:২৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

দর্শনায় পবিত্র রমজানের প্রথম দিনে বাছুরসহ গাভী জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে দর্শনা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বাজার থেকে সেই মাংস উদ্ধার করে মাটিতে পুঁতে ফেলেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে দর্শনা চটকাতলার কসাই ফুলচাঁনের ছেলে রফিক কসাইয়ের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।

জানা গেছে, দর্শনা পিলখানায় কসাই শুকুর আলী, কালু, শামীম, মামুন, রফিক ও সাজসহ ৫-৬ জন মিলে একটি গাভী জবাই করেন। পরে গাভীর পেটে একটি বাছুর পাওয়া গেলে তারা সেটি পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে দেন। এরপর তারা গাভীর মাংস বাজারে বিক্রি করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয়রা বাছুরটি উদ্ধার করে বাজারে নিয়ে আসেন। সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্ত কসাইরা কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় বাজারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কসাইদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

পরে দর্শনা থানা পুলিশ বাছুরসহ জবাইকৃত গাভীর মাংস উদ্ধার করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দর্শনা ও আশপাশের এলাকায় অসাধু কসাইরা নিয়মিতভাবে অসুস্থ গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ জবাই করে সেই মাংস বাজারে বিক্রি করছে। এছাড়া অধিক মুনাফার আশায় গরুর মাংসের সঙ্গে মহিষের মাংস এবং ছাগলের মাংসের সঙ্গে অন্য মাংস মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, অনেক কসাই আগের দিনের মাংস ফ্রিজে রেখে পরের দিন বা দুই-তিন দিন পরও তা নতুন মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করছে। গত ১৪ জানুয়ারি দর্শনা বাজারে নাসির কসাইকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। স্থানীয়রা এমন ঘটনা রোধে বাজার মনিটরিং বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। তারা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনারও দাবি করেন।