ইপেপার । আজ শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

রমজানকে সামনে রেখে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

রমজান মাস ও ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর প্রবাসীরা বেশি পরিমাণ ডলার পাঠান। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গতকাল রোববার রমজান মাস শুরু হয়েছে। এর আগে সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৪ কোটি ২৮ লাখ ডলার বা ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, রমজান ও দুই ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীরা সবসময়ই পরিবারের জন্য বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠান। চলতি বছরেও রোজা উপলক্ষে দেশে আসা রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। এছাড়া খোলাবাজারের তুলনায় আনুষ্ঠানিক মুদ্রাবাজারের ডলারের দামে ব্যবধান কম থাকায় প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। তথ্য বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর আগের বছরের একই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে হিসাবে প্রবাসী আয় বেড়েছে ২০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

প্রবাসী আয় হলো দেশে ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না, অথবা কোনো দায়ও পরিশোধ করতে হয় না। রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশে ডলারের মজুতও দ্রুত বাড়ে। বর্তমান সময়ে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রবাসী আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি এমন সময়ে হলো, যখন দেশের বাজারে ডলার সরবরাহে ঘাটতি অব্যাহত আছে। বৈদেশিক মুদ্রার এই ঘাটতি মোকাবিলায় প্রবাসী আয় বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। আর এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পঠিয়েছেন প্রবাসীরা। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সেই রেকর্ড বেড়েছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস। ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার; যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার। তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা ওপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। আমাদের দেশে সে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে। আর নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

রমজানকে সামনে রেখে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

রমজান মাস ও ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর প্রবাসীরা বেশি পরিমাণ ডলার পাঠান। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গতকাল রোববার রমজান মাস শুরু হয়েছে। এর আগে সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৪ কোটি ২৮ লাখ ডলার বা ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, রমজান ও দুই ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীরা সবসময়ই পরিবারের জন্য বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠান। চলতি বছরেও রোজা উপলক্ষে দেশে আসা রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। এছাড়া খোলাবাজারের তুলনায় আনুষ্ঠানিক মুদ্রাবাজারের ডলারের দামে ব্যবধান কম থাকায় প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। তথ্য বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর আগের বছরের একই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে হিসাবে প্রবাসী আয় বেড়েছে ২০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

প্রবাসী আয় হলো দেশে ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না, অথবা কোনো দায়ও পরিশোধ করতে হয় না। রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশে ডলারের মজুতও দ্রুত বাড়ে। বর্তমান সময়ে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রবাসী আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি এমন সময়ে হলো, যখন দেশের বাজারে ডলার সরবরাহে ঘাটতি অব্যাহত আছে। বৈদেশিক মুদ্রার এই ঘাটতি মোকাবিলায় প্রবাসী আয় বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। আর এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পঠিয়েছেন প্রবাসীরা। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সেই রেকর্ড বেড়েছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস। ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার; যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার। তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা ওপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। আমাদের দেশে সে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে। আর নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।