ঝিনাইদহে রোজার শুরুতেই বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট
বেড়েছে লেবু-খেজুর-শসার দাম
- আপলোড টাইম : ০৮:২৪:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
- / ৫৩ বার পড়া হয়েছে
রমজানুল মুবারকের আগমনের সঙ্গে সাথেই ঝিনাইদহে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট সামনে এসেছে। বাজারে পাইকারি ও খুচরা দোকানে এক লিটার বা দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না, যেখানে খোলা তেলের সরবরাহ সাধারণভাবে চলছে। কোম্পানিগুলো দাবি করছে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার ফলে এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, অধিক মুনাফার জন্যই ব্যবসায়ীরা বোতলজাত সয়াবিন তেল ভেঙে খোলা তেল হিসেবে বিক্রি করছে।
এদিকে, রমজানকে সামনে রেখে খেজুর, শসা, বেগুন ও লেবুর চড়া দামও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ঝিনাইদহ জেলা শহরের নতুন হাটখোলা বাজারে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের কথায় জানা গেছে, কয়েকদিন আগেও আধা লিটার, এক লিটার ও দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে সহজলভ্য ছিল, কিন্তু রোজা আসার সঙ্গে সঙ্গেই হঠাৎ করে বোতলজাত তেল উধাও হয়ে গেছে।
ভোক্তাদের অভিযোগ অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেল ভেঙে খোলা তেল হিসেবে বিক্রি করার পাশাপাশি, কম দামের পামওয়েল মেশানো হচ্ছে, যার ফলে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। মহিউদ্দীন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘রমজানের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না; সবখানেই খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে। এর পেছনে ব্যবসায়ীদের কারসাজি থাকতে পারে।’ আরেক ক্রেতা, আঞ্জুয়ারা বেগম, জানিয়েছেন, ‘রমজা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বেগুনের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে, এক হালি লেবুর দামও দুদিন আগে থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।’
এদিকে, পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার ফলে এই সংকট দেখা দিয়েছে, নতুন কোনো বোতলজাত তেল আসেনি। ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলছেন, ‘খোলা সয়াবিন তেলে ভেজাল দেয়ার সুযোগ নেই, ভোক্তারা সচেতন।’
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, ‘বাজার মনিটরিং-এ আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের মান নিশ্চিতসহ সার্বিক তদারকি জোরদার করা হবে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।’