আলমডাঙ্গায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হামলায় টাকা-মোবাইল লুট
পুলিশের অভিযানে রড-হাসুয়া উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
- আপলোড টাইম : ০৮:২১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
- / ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হামলার শিকার হয়েছিলেন দুই ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কুলপালা এলাকায় পান বরজের বাঁশের শলী বিক্রি করে ফেরার পথে ব্যবসায়ী সোহেল রানা (২৫) ও জাহিদুল ইসলামের (২৬) ওপর হামলা চালিয়ে নগদ প্রায় এক লাখ টাকা ও একটি স্মার্টফোন লুট করে ডাকাতেরা। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার রাতে জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ঝিনাইদহের আমতলা বাজার থেকে পান বরজের বাঁশের শলী বিক্রি করে ফেরার পথে রাত ২টার দিকে আলমডাঙ্গার কুলপালা এলাকায় পৌঁছান সোহেল রানা ও জাহিদুল ইসলাম। এসময় ৮-১০ জনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল রাস্তার পাশে থাকা বাঁশের বেঞ্চ ও শলীর আটি ফেলে তাদের গতিরোধ করে। পরে সশস্ত্র ডাকাত দল ধারালো রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া ও লোহার রড দিয়ে তাদের মারধর করে। এসময় তাদের কাছ থেকে শলী বিক্রির নগদ ৪২ হাজার ও ৬০ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। পাশাপাশি লুট করা হয় একটি রিয়েলমি স্মার্টফোন।
এ ঘটনায় গতকাল আলমডাঙ্গা থানায় ডাকাতি মামলায় ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। যার নং-০১, তারিখ: ০১/০৩/২০২৫। মামলার পর চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম সেবা’র নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাসের তত্ত্বাবধানে আলমডাঙ্গা থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ডাকাত দলের দুই সদস্য গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আলমডাঙ্গার কুলপালা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জাহিদ আলী (৩৫) ও গোপীনগর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মিলন হোসেন (৩৪)।
বিজ্ঞপ্তিতে আওও জানানো হয়, গ্রেপ্তারের সময় তাদের নিকট থেকে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ১টি লোহার রড ও ১টি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে আদালতে গতকালই আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া টাকা ও মোবাইল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।