চুয়াডাঙ্গায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘হুঁশিয়ারি’ মিছিল-সভা
দেশব্যাপী ধর্ষণসহ সহিংসতার প্রতিবাদ
- আপলোড টাইম : ০৮:০৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ১৭ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে ‘হুঁশিয়ারি’ মিছিল ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের করে শিক্ষার্থীরা। তারা মিছিলে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং শহরের পৌরসভা মোড়, কবরী রোড, সরকারি কলেজ সড়ক, কোর্ট মোড় প্রদক্ষিণ করে বড় বাজার চৌরাস্তার মোড়ে গিয়ে সভা করে। এতে উভয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শহরের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া চৈতি বলেন, ‘দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ এবং সহিংসতার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ অবস্থা মেনে নিতে পারি না। আমাদের এই মিছিলের মাধ্যমে আমরা প্রশাসন ও সমাজের সকল স্তরের কাছে হুঁশিয়ারি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে, অবিলম্বে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এবং আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
শিক্ষার্থী পারভেজ আলী বলেন, ‘নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা চাই, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক, যাতে এ ধরনের অপরাধ আর না ঘটে।’ শিক্ষার্থী মেঘা বলেন, ‘আমরা একটি নিরাপদ সমাজে বাঁচতে চাই, যেখানে আমাদের কোনো ভয় বা শঙ্কা থাকবে না। আজকের এই মিছিলের মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবির কথা জানাচ্ছি এবং আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের কণ্ঠস্বর শুনবে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ এবং সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ) জানিয়েছে, বর্তমানে ঘরে-বাইরে কোথাও নারী ও শিশু নিরাপদ নয়। এ পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। গতকাল চুয়াডাঙ্গার ন্যায় ভোলায় ধর্ষণ, হত্যা ও ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে চুরি, ডাকাতি ও ধর্ষণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের এই মিছিল ও সমাবেশ দেশব্যাপী চলমান আন্দোলনেরই একটি অংশ, যা সমাজে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করতে ভূমিকা রাখবে বলে শিক্ষার্থী দাবি করেন।