ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা

ভোট চান শ্রমিকরা, প্রশাসন দায়িত্ব নিলেই সম্ভব

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৭:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ৫৪ বার পড়া হয়েছে

প্রশাসন দায়িত্ব নিলে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ১৩, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি দর্শনা কেরুজ ক্লাবের আশপাশে ৬টি বোমা পাওয়ার ঘটনার পর কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। শ্রমিক নেতা ও কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচন স্থগিত রাখার বিষয়ে ঐকম্যতে পৌঁছান।

এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৩১ জন প্রার্থী স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে জমা দেন। এই প্রেক্ষিতে কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন ও আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের কাছে অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠান। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তর ও কেরুজ প্রশাসন নির্বাচন করতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানায়। তবে প্রশাসন যদি দায়িত্ব নেয়, তাহলে নির্বাচনে কোনো বাধা থাকবে না।

গতকাল বুধবার কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জেলা প্রশাসকের কাছে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। জেলা প্রশাসক তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কিছুদিন অপেক্ষা করুন। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে, নির্বাচনের জন্য আর মাত্র ১২ দিন নির্ধারিত সময় আছে। কারণ মিল বন্ধ হলে মৌসুমি (সিজনাল) শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাবেন। ফলে বেশিরভাগ শ্রমিক ও কর্মচারী ভোট দিতে পারবেন না, যা নির্বাচনের অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।

এসব বিষয়ে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ বলেন, ‘জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, এক-দুই মাস এলাকার পরিস্থিতি নিরাপদ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। বর্তমানে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী, দেশে যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, তাহলে নির্বাচন স্থগিত রাখা যায়। তবে এখন এমন কোনো পরিস্থিতি নেই। আমরা শ্রম আইনের কাগজপত্র জমা দিয়েছি। জেলা প্রশাসক কাগজপত্র দেখে এবং প্রশাসনিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেননি।’

সব মিলিয়ে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন এখন প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তবে শ্রমিক নেতারা নির্বাচন নিয়ে হাল ছাড়েননি। আজ বৃহস্পতিবার তারা জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা

ভোট চান শ্রমিকরা, প্রশাসন দায়িত্ব নিলেই সম্ভব

আপলোড টাইম : ০৯:০৭:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রশাসন দায়িত্ব নিলে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ১৩, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি দর্শনা কেরুজ ক্লাবের আশপাশে ৬টি বোমা পাওয়ার ঘটনার পর কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। শ্রমিক নেতা ও কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচন স্থগিত রাখার বিষয়ে ঐকম্যতে পৌঁছান।

এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৩১ জন প্রার্থী স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে জমা দেন। এই প্রেক্ষিতে কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন ও আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের কাছে অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠান। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তর ও কেরুজ প্রশাসন নির্বাচন করতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানায়। তবে প্রশাসন যদি দায়িত্ব নেয়, তাহলে নির্বাচনে কোনো বাধা থাকবে না।

গতকাল বুধবার কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জেলা প্রশাসকের কাছে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। জেলা প্রশাসক তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কিছুদিন অপেক্ষা করুন। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে, নির্বাচনের জন্য আর মাত্র ১২ দিন নির্ধারিত সময় আছে। কারণ মিল বন্ধ হলে মৌসুমি (সিজনাল) শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাবেন। ফলে বেশিরভাগ শ্রমিক ও কর্মচারী ভোট দিতে পারবেন না, যা নির্বাচনের অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।

এসব বিষয়ে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ বলেন, ‘জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, এক-দুই মাস এলাকার পরিস্থিতি নিরাপদ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। বর্তমানে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী, দেশে যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, তাহলে নির্বাচন স্থগিত রাখা যায়। তবে এখন এমন কোনো পরিস্থিতি নেই। আমরা শ্রম আইনের কাগজপত্র জমা দিয়েছি। জেলা প্রশাসক কাগজপত্র দেখে এবং প্রশাসনিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেননি।’

সব মিলিয়ে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন এখন প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তবে শ্রমিক নেতারা নির্বাচন নিয়ে হাল ছাড়েননি। আজ বৃহস্পতিবার তারা জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন।