ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

মেহেরপুর জেলা বিএনপির জনসভায় গণজোয়ার, বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী আমানুল্লাহ আমান

শেখ মুজিব মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল

প্রতিবেদক, মেহেরপুর সদর:
  • আপলোড টাইম : ০৩:০৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলসহ বিভিন্ন গণদাবিতে মেহেরপুরে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে মেহেরপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানুল্লাহ আমান।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাবেদ মাসুদ মিল্টনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুণ ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমানুল্লাহ আমান বলেন, শেখ মুজিব মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকী সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সে সময় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সব সংবাদপত্র খুলে দিয়েছিলেন, সব দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সংসদে বিল পাশ করে সংসদীয় গণতন্ত্র এনেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছেন। তিন তিনটা ভোট সেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিএনপি নেতা ইলিয়াছ আলী, চৌধুরী আলম, সুমনকে গুম করেছিল। দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল। সর্বশেষ জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেলাম। আগামীতে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করবে। নেতা-কর্মীদের হুশিয়ারি দিয়ে আমান উল্লাহ আমান বলেন, দলে নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে। কিন্তু কেউ দলের বিরুদ্ধে কাজ করবেন না। দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে ছিটকে যাবেন। ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আর দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে ছিটকে পড়বেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে সবাইকে।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, মেহেরপুরের মাটি খুব উর্বর, এখানকার মানুষও অনেক উর্বর। তাই বিএনপির এই উর্বর মাটিতে কোনো বাধা আর বিএনপিকে পিছিয়ে রাখতে পারবে না। বিএনপির মানুষ এখন অনেক উজ্জীবিত, পাশাপাশি মানুষ এখন তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের কথা ঘরে বসে শুনে ভালো-মন্দ সবই বুঝতে পারে। কাজেই আগামী দিনে জাবেদ মাসুদ মিল্টন ও কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে মেহেরপুরের বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে হবে।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর খান ছাতু, আব্দুল্লাহ, আনছারুল হক, হাফিজুর রহমান হাপি, খাইরুল বাশার, রেজাউল হক, ওমর ফারুক লিটন, মীর ফারুক, রোমানা আহমেদ, আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, মশিউর রহমান, আলফাজ উদ্দীন কালু, আব্দুল আওয়াল, আখেরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আ. রহিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিণ্টু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, জেলা জাসাসের সদস্যসচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আনিসুল হক লাভলু, জেলা যুবদলের সহসভাপতি, এস এ খান শিল্টু, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব আনারুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ইলিয়াস হোসেন, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্যসচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ছাবিহা সুলতানা, আব্দুল লতিফ, মোশিউল আলম দ্বীপু, নাহিদ আহমেদ, হাফিজুর রহমান, সৌরভ, জনি প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মেহেরপুর জেলা বিএনপির জনসভায় গণজোয়ার, বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী আমানুল্লাহ আমান

শেখ মুজিব মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল

আপলোড টাইম : ০৩:০৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলসহ বিভিন্ন গণদাবিতে মেহেরপুরে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে মেহেরপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানুল্লাহ আমান।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাবেদ মাসুদ মিল্টনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুণ ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমানুল্লাহ আমান বলেন, শেখ মুজিব মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকী সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সে সময় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সব সংবাদপত্র খুলে দিয়েছিলেন, সব দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সংসদে বিল পাশ করে সংসদীয় গণতন্ত্র এনেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছেন। তিন তিনটা ভোট সেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিএনপি নেতা ইলিয়াছ আলী, চৌধুরী আলম, সুমনকে গুম করেছিল। দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল। সর্বশেষ জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেলাম। আগামীতে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করবে। নেতা-কর্মীদের হুশিয়ারি দিয়ে আমান উল্লাহ আমান বলেন, দলে নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে। কিন্তু কেউ দলের বিরুদ্ধে কাজ করবেন না। দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে ছিটকে যাবেন। ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আর দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে ছিটকে পড়বেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে সবাইকে।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, মেহেরপুরের মাটি খুব উর্বর, এখানকার মানুষও অনেক উর্বর। তাই বিএনপির এই উর্বর মাটিতে কোনো বাধা আর বিএনপিকে পিছিয়ে রাখতে পারবে না। বিএনপির মানুষ এখন অনেক উজ্জীবিত, পাশাপাশি মানুষ এখন তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের কথা ঘরে বসে শুনে ভালো-মন্দ সবই বুঝতে পারে। কাজেই আগামী দিনে জাবেদ মাসুদ মিল্টন ও কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে মেহেরপুরের বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে হবে।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর খান ছাতু, আব্দুল্লাহ, আনছারুল হক, হাফিজুর রহমান হাপি, খাইরুল বাশার, রেজাউল হক, ওমর ফারুক লিটন, মীর ফারুক, রোমানা আহমেদ, আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, মশিউর রহমান, আলফাজ উদ্দীন কালু, আব্দুল আওয়াল, আখেরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আ. রহিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিণ্টু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, জেলা জাসাসের সদস্যসচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আনিসুল হক লাভলু, জেলা যুবদলের সহসভাপতি, এস এ খান শিল্টু, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব আনারুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ইলিয়াস হোসেন, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্যসচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ছাবিহা সুলতানা, আব্দুল লতিফ, মোশিউল আলম দ্বীপু, নাহিদ আহমেদ, হাফিজুর রহমান, সৌরভ, জনি প্রমুখ।