ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় সন্ধ্যায় মোমবাতি ও মশাল প্রজ্জ্বলন

দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী সহিংসতার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ধর্ষণ ও নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হুঁশিয়ারি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। হুঁশিয়ারি সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজ ফটক থেকে শুরু হয়ে কবরী রোড প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে ফিরে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদস্যসচিব সাফফাতুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা ধর্ষকদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আমাদের মা-বোনদের দিকে কুদৃষ্টিতে তাকালে সেই চোখ উপড়ে ফেলা হবে। যদি কেউ তাদের নির্যাতনের দুঃসাহস দেখায়, তবে তার কলিজা ছিঁড়ে চৌরাস্তার মোড়ে টাঙিয়ে দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সারাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এসব ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’ পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই অপরাধ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়ত জনসাধারণের ক্ষোভ থামানো সম্ভব হবে না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা শাখার মুখ্য সংগঠক সজিবুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুম মনিরা এবং সদর উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব ফাহিম উদ্দিন। তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শুধু আইন প্রণয়ন করলেই হবে না, এর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।
সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেজাউল বাসার প্লাবন, মভিন, জিহাদ হাসান চৌধুরী, মাহিন বিল্লাহ, মাহবুব ইসলাম আকাশ, সাইফুল্লাহ সাদিক সৌরভ, মাসুদ মৃধা, এম এ সাইফ, নুসরাত জাহান রোজা, তাসনিয়া আফসিন, সানজিদা তাবাসসুম মিথীন, তাসলিম আল মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল কাফি, হাফসা এলিয়েশা, মোহাম্মদ লাবিব ম-ল, জান্নাতুল বাসার শ্রাবণ, জান্নাতুল মাওয়া চৈতি, উম্মে রিদিতা, মারওয়া, তারমীম আকিদা আঞ্জুম হাবিবা, নুসরার আরা অরিন, ফয়সাল মাহমুদ রাফি প্রমুখ।
এদিকে, প্রতিবাদ হুঁশিয়ারি সমাবেশ কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনাদে দাঁড়িয়ে মোমবাতি ও মশাল প্রজ্জ্বলন করে। এসময় তারা আরও ঘোষণা দেন, যদি ধর্ষণ ও নারী সহিংসতার ঘটনা বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় সন্ধ্যায় মোমবাতি ও মশাল প্রজ্জ্বলন

দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী সহিংসতার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি

আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে ধর্ষণ ও নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হুঁশিয়ারি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। হুঁশিয়ারি সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজ ফটক থেকে শুরু হয়ে কবরী রোড প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে ফিরে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদস্যসচিব সাফফাতুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা ধর্ষকদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আমাদের মা-বোনদের দিকে কুদৃষ্টিতে তাকালে সেই চোখ উপড়ে ফেলা হবে। যদি কেউ তাদের নির্যাতনের দুঃসাহস দেখায়, তবে তার কলিজা ছিঁড়ে চৌরাস্তার মোড়ে টাঙিয়ে দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সারাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এসব ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’ পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই অপরাধ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়ত জনসাধারণের ক্ষোভ থামানো সম্ভব হবে না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা শাখার মুখ্য সংগঠক সজিবুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুম মনিরা এবং সদর উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব ফাহিম উদ্দিন। তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শুধু আইন প্রণয়ন করলেই হবে না, এর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।
সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেজাউল বাসার প্লাবন, মভিন, জিহাদ হাসান চৌধুরী, মাহিন বিল্লাহ, মাহবুব ইসলাম আকাশ, সাইফুল্লাহ সাদিক সৌরভ, মাসুদ মৃধা, এম এ সাইফ, নুসরাত জাহান রোজা, তাসনিয়া আফসিন, সানজিদা তাবাসসুম মিথীন, তাসলিম আল মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল কাফি, হাফসা এলিয়েশা, মোহাম্মদ লাবিব ম-ল, জান্নাতুল বাসার শ্রাবণ, জান্নাতুল মাওয়া চৈতি, উম্মে রিদিতা, মারওয়া, তারমীম আকিদা আঞ্জুম হাবিবা, নুসরার আরা অরিন, ফয়সাল মাহমুদ রাফি প্রমুখ।
এদিকে, প্রতিবাদ হুঁশিয়ারি সমাবেশ কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনাদে দাঁড়িয়ে মোমবাতি ও মশাল প্রজ্জ্বলন করে। এসময় তারা আরও ঘোষণা দেন, যদি ধর্ষণ ও নারী সহিংসতার ঘটনা বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।