পাচারের সময় দুই নাবালিকা উদ্ধার, পাচারকারী আটক
জীবননগর ও মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার
- আপলোড টাইম : ১১:৫০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অভিযানে ভারতে পাচারের সময় দুইজন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় মো. শরিফুল ইসলাম নামের এক দালালকে আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের যাদবপুর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় বিজিবি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বেসামরিক সোর্সের মাধ্যমে জানা যায় যে, সীমান্ত ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের মধ্যে পাচার হতে যাওয়া ২ জন নাবালিকা নারী ধুর একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এই সংবাদ পেয়ে বেনীপুর ও কুসুমপুর বিওপির দুটি দহল দল সেখানে গিয়ে নাবালিকা দুই মেয়েকে উদ্ধার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, পাচার হওয়ার সময় তারা চিৎকার করলে পাচারকারীরা তাদের রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবির টহল দল জানতে পারে যে, স্থানীয় জনসাধারণ কর্তৃক শরিফুল নামক একজন পাচারকারী দলের দালালকে আটক করে মারধর করছে। পরে বেনীপুর বিওপির টহল দল তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। আর দালাল মো. শরিফুল ইসলামকে (৪৫) তারা শনাক্ত করে। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা যায়, এই পাচারকারী দলের প্রধান হোতা হচ্ছে সাত্তার। পলাতক পাচারকারী সাত্তার এবং আটককৃত দালাল মো. শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে গত সোমবার রাতে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের নতুনপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা নতুনপাড়া গ্রামের মো. রহমাতের লিচু বাগানের মধ্যে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামিবিহীন ৬০ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একই রাতে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ গয়েশপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা গয়েশপুর উত্তরপাড়া কলাবাগানের মধ্যে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামিবিহীন ৮৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। আর গতকাল মঙ্গলবার ভোরে মাধবখালী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মাধবখালী গ্রামের মো. সালামের আমবাগানের মধ্যে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামীবিহীন ৯৭ বোতল ভারতীয় মদ এবং ৩৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া একই দিন মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ লড়াইঘাট, পলিয়ানপুর, কুসুমপুর এবং বাঘাডাংগা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়মিত টহল পরিচালনার মাধ্যমে ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অপরাধে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।