সরকারের সব দপ্তরে দ্রুত ই-ফাইলিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- আপলোড টাইম : ০২:৩১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ২৪ বার পড়া হয়েছে
সরকারের প্রত্যেকটি দপ্তরে দ্রুততম সময়ে ই-ফাইলিং চালু করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সোমবার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পে গড়ে ৭০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধি ছিল।
শফিকুল আলম বলেন, অতিরিক্ত ব্যয়ের বিষয়গুলো তৃতীয় পক্ষ দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। যেমন-মেট্রোরেলের আরেকটি প্রকল্পে আগের সরকারের সময় যে ব্যয় ধরা হয়েছিল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক মূল্যায়ন করে দেখেছে, ৫০০ মিলিয়ন ডলার এখানে সাশ্রয় করা যায়। এ রকম অনেক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল, সরকারের প্রতিটি স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং চালু হবে। এখন দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (বিডা) ই-ফাইলিং আছে। কিন্তু সরকারের অনেক মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় ই-ফাইলিং নাই। এ কারণে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা ধীরগতির হয়ে যায়। এই জায়গাটিতে কীভাবে গতি বাড়ানো যায় এবং কোনও ফাইল যেন ম্যানুয়ালি না নড়ে সেই জায়গায় কত দ্রুত কাজ করা যায়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার নিকট সংকট থেকে উত্তরণে টাস্ক ফোর্সের উল্লেখযোগ্য সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে আছে, উচ্চ হারে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের পরিবর্তে নমনীয় সুদে ঋণ গ্রহণ করতে হবে, বৈশ্বিক অস্থিরতা থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষা দিতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত ও জোরদার করতে হবে, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন এবং এর মান নিশ্চিত করতে হবে, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর নীতি এবং কর প্রশাসন সম্পূর্ণ পৃথক করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় কর ছাড় বাতিল করতে হবে, তৈরি পোষাক শিল্পের উপর অতিনির্ভরশীলতা কমিয়ে অন্যান্য সম্ভাবনাময় শিল্পকে উৎসাহিত করতে হবে ইত্যাদি।