প্রবাসে আক্কাস আলীর মৃত্যু, লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
- আপলোড টাইম : ০৮:৪৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে
সৌদি আরবে মৃত্যুবরণ করা প্রবাসী আক্কাস আলীর মৃত্যু সংবাদে শোকে স্তব্ধ তার পরিবার। উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা স্ত্রী-সন্তানরা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি আক্কাসের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে কান্না থামছে না তার ছোট ছেলে স্বাধীন (৮), মেয়ে হোসনে আরা (১৪) ও বড় ছেলে অমিরের (১৯)। মৃতদেহ দেশে ফেরানো নিয়ে জটিলতা থাকায় স্বজনদের উৎকণ্ঠা আরও বেড়েছে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তত্বিপুর গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লার ছেলে আক্কাস আলী জীবিকার সন্ধানে ২ বছর ৪ মাস আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু যাওয়ার তিন মাস পরই তার প্রবাস জীবন অবৈধ হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় অনিশ্চিত ও কষ্টকর দিনযাপন-অনাহারে, অর্ধাহারে লুকিয়ে থাকা, কাজের অনিশ্চয়তা। গত ১৯ জানুয়ারি রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে স্ত্রী সুরাইয়ার সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলেন আক্কাস। এর পরদিনই তার মৃত্যুর খবর আসে। এর আগে তিন মাস আগে আক্কাসের বাবা আলাউদ্দিন মোল্লাও মারা যান।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের বড় তালিয়ান গ্রামের আমজেদ মুসল্লির ছেলে মিকাইলের মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন আক্কাস। তার সৌদি যাত্রার জন্য পরিবার জমি বিক্রি করে ও ঋণ করে সাড়ে ৭ লাখ টাকা জোগাড় করেছিল। কিন্তু বিদেশ যাওয়ার তিন মাস পর থেকেই তাকে পালিয়ে থাকতে হয়। এতদিনে একবারই গত জানুয়ারিতে, তিনি কষ্টার্জিত প্রথম উপার্জনের টাকা দেশে পাঠিয়েছিলেন।
আক্কাসের স্ত্রী সুরাইয়া বলেন, ‘সাড়ে সাত লাখ টাকা দিয়ে স্বামীকে বিদেশ পাঠালাম, আর ওখানে শুধু পালিয়ে থাকতে হলো! এটা কেমন প্রবাস জীবন? তিনি অভিযোগ করেন, দালাল মিকাইল তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং এর উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহ দেশে আনতে দূতাবাসের প্রত্যয়ন প্রয়োজন। সেটি আমার অফিসে এলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’