শৈলকূপায় আলোচিত তিন খুনের ঘটনায় এখনো উদ্ধার হয়নি হত্যার মোটিভ ও ক্লু
কায়েতপাড়া বাওড় এলাকায় আবারও গুলির শব্দ, ভীত্রসন্ত্রস্ত্র মানুষ- আপলোড টাইম : ০৮:৪১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ৬২ বার পড়া হয়েছে
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কথিত সামরিক কমান্ডার হানিফ আলীসহ তিন খুনের পর এলাকায় আতঙ্ক কমেনি। উদ্ধার হয়নি হত্যার মোটিভ ও ক্লু। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তাও সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা এখনো রয়েছে অন্ধকারে। এরইমধ্যে নারায়নকন্দি ও কায়েতপাড়া বাওড় এলাকায় আবারো গুলির শব্দ শোনা গেছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে বাওড় পাড়ে ৪-৫টি গুলি বা বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। যা স্থানীয় গ্রামবাসীকে ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত্র করে তুলেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বাওড় এলাকা পরিদর্শন করে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে চাইলে মিডিয়াকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এড়িয়ে চলছেন স্থানীয় মানুষজন। গত শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসী হানেফের সঙ্গে তার শ্যালক লিটন ও রাইসুল ইসলাম রাজু খুন হন। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ বন্দুকধারীরা তাদেরকে হত্যা করতে পারে এমন আশঙ্কা করছে পুলিশ। তবে হত্যা ঘটনার কিছু সময়ের মধ্যে দায় স্বীকার করে জাসদ গণবাহিনীর কালু নামে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে গণমাধ্যমকর্মীদের খুদে বার্তা দেন।
এদিকে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) পক্ষ থেকে জাসদ ‘গণবাহিনী’ নামে তাদের কোনো সহযোগী সংগঠন নেই বলে দলটির সহ-দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে। বিবৃতিতে জাসদের পক্ষ থেকে এই ঘটনার নিন্দা ও জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবিও করা হয়।
নারায়নকান্দি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে বাওড়পাড়ে পরপর কয়েকটি শব্দ হয় বলে তাকে এলাকাবাসী জানায়। এগুলো গুলি না বোমা তা জানা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর এক টহল দল ঘটনাস্থলে যান। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘হত্যাকারীদের সনাক্ত ও তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’