ইউটিউব দেখে রঙিন মাছ চাষে সফল স্কুলশিক্ষক
- আপলোড টাইম : ০৮:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ৪৭ বার পড়া হয়েছে
ইউটিউবে দেখে রঙিন মাছ চাষে আগ্রহী হন জীবননগরের স্কুলশিক্ষক মো. আজিম উদ্দিন। করোনার সময় স্কুল বন্ধ থাকায় অবসর সময় কাটাতে শুরু করেন এ শখ। এখন সেটাই পরিণত হয়েছে লাভজনক ব্যবসায়। এখন তার প্রতিষ্ঠিত নয়ন-জ্যোতি অ্যাকুরিয়াম ফিস অ্যান্ড হ্যাচারিতে ১৮ প্রজাতির মাছ রয়েছে। যা থেকে এখন প্রতি মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি।
জীবননগরের হাসাদাহ ইউনিয়নের বকুন্ডিয়া গ্রামের শিক্ষক আজিম উদ্দিন প্রথমে বাড়িতে অ্যাকুরিয়ামে মাছ রাখার চিন্তা করেন। পরে ২০২১ সালের অক্টোবরে মাত্র ১১ হাজার টাকায় ১৬০টি মাছ কিনে চাষ শুরু করেন। এখন তার ৬টি চৌবাচ্চা ও ৩০টি রিং হাউজে রঙিন মাছের চাষ হচ্ছে। নিজস্ব হ্যাচারিতে বাচ্চা উৎপাদন করেন তিনি। নয়ন-জ্যোতি অ্যাকুরিয়াম ফিস অ্যান্ড হ্যাচারিতে রয়েছে কইকার্প, কমেট, গোল্ডফিস, গাপি, মলি, প্লাটি, সোর্ডটেল, প্রিন্টপ্লাটিসহ ১৮ প্রজাতির রঙিন মাছ। এসব মাছের দাম ১০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত মাছ চাষে তার খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। মাছের খাবার হিসেবে দেওয়া হয় ভাসমান ফিড, সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ভিটামিন।
তার হ্যাচারিতে এখন মাছ দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ভিড় জমান। মহেশপুরের ভৈরবা গ্রামের আতিকুর রহমান বলেন, ‘এখানে এসে মন ভরে গেছে। এতো প্রজাতির মাছ একসঙ্গে দেখিনি।’ মেহেরপুরের ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ‘আগে এ ধরনের মাছের জন্য ঢাকায় যেতে হতো, এখন জীবননগরেই পাওয়া যাচ্ছে।’
আজিম উদ্দিন বলেন, ‘সঠিকভাবে যত্ন নিলে এ ব্যবসা থেকে ভালো আয় করা সম্ভব। আমার লক্ষ্য এ চাষকে আরও বড় পরিসরে নেওয়া।’ তার ছোট ভাই অ্যাড. শরিফুল ইসলামও এ কাজে সহযোগিতা করছেন। জীবননগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জুয়েল শেখ বলেন, ‘এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। নিয়ম মেনে করলে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। রঙিন মাছ চাষ লাভজনক, যা বেকারদের জন্য নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে।’