ইপেপার । আজ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন

ব্যানার-ফেস্টুন ছেড়া ও পুড়িয়ে তছরুপের ঘটনার প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন রাতের আধারে ছিড়ে ও পুড়িয়ে তছরুপের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিবির। গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটায় সরকারি কলেজ প্রধান ফটকের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে জেলা শিবিরের নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ প্রচার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এই তছরুপের ঘটনা ঘটিয়েছে।

জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাগর আহমেদ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার মধ্যদিয়ে দুর্বৃত্তরা জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মৃতি মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। চেষ্টা করা হয়েছে কলেজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, অতীতে ফ্যাসিবাদী সরকারও ছাত্রশিবিরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে টিকে থাকতে পারেনি, আপনাদেরও সাবধান হওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, শহীদদের স্মৃতি অবমাননাকারী দুর্বৃত্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন।’ শিবির সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। যদি আবারও এ ধরনের অপচেষ্টা চালানো হয়, তবে ছাত্রশিবির কঠোর প্রতিবাদ জানাবে। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আমরা মাঠে থাকব এবং কলেজ ক্যাম্পাসকে কোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার কেন্দ্রে পরিণত হতে দেব না।’

জানা গেছে, ছিড়ে ও পুড়িয়ে দেয়া ব্যানার ও ফেস্টুনে ছিল জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ছবি, যা জেলা শিবিরের উদ্যোগে গত ৩১ জানুয়ারি কলেজ প্রাঙ্গণে টাঙানো হয়েছিল। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় শিবিরের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরির পর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে আমাদের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে জেলা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে তাদের ব্যানার ও ফেস্টুন তছরুপ অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত প্রশাসনের কাছ থেকে কার্যকর পদক্ষেপের আশায় রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। সরকারি কলেজের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার পর চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে দুটি মোটরসাইকেলযোগে চারজন কলেজ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। পরে তারা কলেজ প্রাঙ্গণের টাঙানো এসব ব্যানার-ফেস্টুন ছিড়ে ও পুড়িয়ে তছরুপ করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন

ব্যানার-ফেস্টুন ছেড়া ও পুড়িয়ে তছরুপের ঘটনার প্রতিবাদ

আপলোড টাইম : ১০:৪৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন রাতের আধারে ছিড়ে ও পুড়িয়ে তছরুপের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিবির। গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটায় সরকারি কলেজ প্রধান ফটকের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে জেলা শিবিরের নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ প্রচার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এই তছরুপের ঘটনা ঘটিয়েছে।

জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাগর আহমেদ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার মধ্যদিয়ে দুর্বৃত্তরা জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মৃতি মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। চেষ্টা করা হয়েছে কলেজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, অতীতে ফ্যাসিবাদী সরকারও ছাত্রশিবিরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে টিকে থাকতে পারেনি, আপনাদেরও সাবধান হওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, শহীদদের স্মৃতি অবমাননাকারী দুর্বৃত্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন।’ শিবির সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। যদি আবারও এ ধরনের অপচেষ্টা চালানো হয়, তবে ছাত্রশিবির কঠোর প্রতিবাদ জানাবে। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আমরা মাঠে থাকব এবং কলেজ ক্যাম্পাসকে কোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার কেন্দ্রে পরিণত হতে দেব না।’

জানা গেছে, ছিড়ে ও পুড়িয়ে দেয়া ব্যানার ও ফেস্টুনে ছিল জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ছবি, যা জেলা শিবিরের উদ্যোগে গত ৩১ জানুয়ারি কলেজ প্রাঙ্গণে টাঙানো হয়েছিল। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় শিবিরের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরির পর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে আমাদের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে জেলা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে তাদের ব্যানার ও ফেস্টুন তছরুপ অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত প্রশাসনের কাছ থেকে কার্যকর পদক্ষেপের আশায় রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। সরকারি কলেজের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার পর চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে দুটি মোটরসাইকেলযোগে চারজন কলেজ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। পরে তারা কলেজ প্রাঙ্গণের টাঙানো এসব ব্যানার-ফেস্টুন ছিড়ে ও পুড়িয়ে তছরুপ করে।