ইপেপার । আজ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে জামায়াত ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

দলের নিবন্ধন ফেরত ও এটিএম আজহারুলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল বেলা তিনটায় শহরের বড় বাজার চৌরাস্তা মোড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াত এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সমাবেশের পর সেখান থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের শহীদ আবুল কাশেম সড়ক হয়ে পৌরসভা মোড়, কবরী রোড, সরকারি কলেজ সড়ক, কোর্ট মোড়, দোয়েল চত্বর হয়ে থানা সড়ক ঘুরে আবার পূর্বের স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভে জেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। এতে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানজট সৃষ্টি হয়। সমাবেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ জামায়াতের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস ১০ দিন পর কেন আমরা সরব হলাম, এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। কিন্তু আমাদের নিশ্চুপ থাকার কারণ ছিল প্রত্যাশা ও বিশ্বাস। আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর স্বৈরাচারী শাসনের আমলে গৃহীত সকল অন্যায় আইন বিলুপ্ত হবে এবং ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক একটি নতুন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু বাস্তবতা আমাদের হতাশ করেছে। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে এক যুগেরও বেশি সময় কারাগারে বন্দি রেখে পরিকল্পিতভাবে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অথচ আমরা ‘দাড়িপাল্লা’ প্রতীককে ন্যায়বিচার ও ইনসাফের প্রতীক হিসেবে জেনে এসেছি। আমরা জনগণের কাছে দাঁড়িপাল্লায় ভোট চেয়েছি, আমাদের স্লোগান ছিল ন্যায় ও সাম্যের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা। কিন্তু সেই ফ্যাসিস্ট সরকার আদালতকে ব্যবহার করে, আইনকে অস্ত্র বানিয়ে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিষিদ্ধ করেছে।’

রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা আর এই অন্যায়, এই প্রহসনের বিচারব্যবস্থা দেখতে চাই না। আমরা ন্যায়ের সেই দাঁড়িপাল্লা প্রতীক পুনরুদ্ধার চাই। আমরা এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। এটি শুধু আমাদের চাওয়া নয়, এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা চাই, তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এবং আমরা বিশ্বাস করি, জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার এটিএম আজহারুল ইসলামের রয়েছে। আমরা আর নীরব থাকব না। আমাদের অধিকার আমাদেরই আদায় করে নিতে হবে।’

জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি অ্যাড. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আকস্মিক অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামিক বক্তা মুফতি আমির হামজা। এছাড়া বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল এবং সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল কাদের। সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের ইউনিট সদস্য মসলেম উদ্দিন ও জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি সাগর আহম্মেদ। সমাবেশের শুরুতে দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আব্দুল খালেক পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন।

এদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিতে মেহেরপুরেও বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা জামায়েত ইসলামীর আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে শহরের কোর্ট মোড় থেকে মিছিলটি বের করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর হোটেল বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ করা হয়।

মিছিল অন্যদের মধ্যে মেহেরপুর জেলা জামায়েত ইসলামীর নায়েবে আমির মাহাবুবুল আলম, সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমির মাওলানা খান জাহান আলী, গাংনী উপজেলা আমির রবিউল ইসলাম, খাইরুল বাশার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, নাজমুল হুদা, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহ শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়।

মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির আলী আজম মো. আবুবকর, জেলা সেক্রেটারি আব্দুল আওয়াল, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হাই, কাজী ছাগীর আহম্মেদ, কালীগঞ্জ উপজেলা আমির আব্দুল হক, নায়েবে আমির মাওলানা মো. আবু তালিব, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আমির বাবুল হোসেন, শৈলকূপা উপজেলা আমির এস এম মতিউর রহমান, ঝিনাইদহ শহর আমির অ্যাড. ইসমাইল হোসেন, শহর শিবিরের সভাপতি মেহেদী হাসান রাজু ও সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সমাবেশে জেলা আমির আলী আজম মো. আবু বক্কর বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হলেও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে জামায়াতে ইসলামী রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর দেশবাসী আশা করেছিল তারা সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন থেকে রেহাই পাবে। যারা মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন, তারা মুক্তি পাবে। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর ফাঁসির আসামিসহ অনেকেই মুক্তি পেলেও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। তার মুক্তি না হওয়ায় দেশবাসী বিস্মিত ও হতবাক বলেও জেলা জামায়াত আমির উল্লেখ করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে জামায়াত ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

দলের নিবন্ধন ফেরত ও এটিএম আজহারুলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি

আপলোড টাইম : ১০:০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল বেলা তিনটায় শহরের বড় বাজার চৌরাস্তা মোড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াত এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সমাবেশের পর সেখান থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের শহীদ আবুল কাশেম সড়ক হয়ে পৌরসভা মোড়, কবরী রোড, সরকারি কলেজ সড়ক, কোর্ট মোড়, দোয়েল চত্বর হয়ে থানা সড়ক ঘুরে আবার পূর্বের স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভে জেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। এতে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানজট সৃষ্টি হয়। সমাবেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ জামায়াতের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস ১০ দিন পর কেন আমরা সরব হলাম, এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। কিন্তু আমাদের নিশ্চুপ থাকার কারণ ছিল প্রত্যাশা ও বিশ্বাস। আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর স্বৈরাচারী শাসনের আমলে গৃহীত সকল অন্যায় আইন বিলুপ্ত হবে এবং ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক একটি নতুন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু বাস্তবতা আমাদের হতাশ করেছে। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে এক যুগেরও বেশি সময় কারাগারে বন্দি রেখে পরিকল্পিতভাবে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অথচ আমরা ‘দাড়িপাল্লা’ প্রতীককে ন্যায়বিচার ও ইনসাফের প্রতীক হিসেবে জেনে এসেছি। আমরা জনগণের কাছে দাঁড়িপাল্লায় ভোট চেয়েছি, আমাদের স্লোগান ছিল ন্যায় ও সাম্যের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা। কিন্তু সেই ফ্যাসিস্ট সরকার আদালতকে ব্যবহার করে, আইনকে অস্ত্র বানিয়ে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিষিদ্ধ করেছে।’

রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা আর এই অন্যায়, এই প্রহসনের বিচারব্যবস্থা দেখতে চাই না। আমরা ন্যায়ের সেই দাঁড়িপাল্লা প্রতীক পুনরুদ্ধার চাই। আমরা এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। এটি শুধু আমাদের চাওয়া নয়, এটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা চাই, তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এবং আমরা বিশ্বাস করি, জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার এটিএম আজহারুল ইসলামের রয়েছে। আমরা আর নীরব থাকব না। আমাদের অধিকার আমাদেরই আদায় করে নিতে হবে।’

জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি অ্যাড. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আকস্মিক অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামিক বক্তা মুফতি আমির হামজা। এছাড়া বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল এবং সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল কাদের। সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের ইউনিট সদস্য মসলেম উদ্দিন ও জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি সাগর আহম্মেদ। সমাবেশের শুরুতে দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আব্দুল খালেক পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন।

এদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিতে মেহেরপুরেও বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে জেলা জামায়াতে ইসলামী। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা জামায়েত ইসলামীর আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে শহরের কোর্ট মোড় থেকে মিছিলটি বের করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর হোটেল বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ করা হয়।

মিছিল অন্যদের মধ্যে মেহেরপুর জেলা জামায়েত ইসলামীর নায়েবে আমির মাহাবুবুল আলম, সদর উপজেলা আমির সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমির মাওলানা খান জাহান আলী, গাংনী উপজেলা আমির রবিউল ইসলাম, খাইরুল বাশার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রউফ মুকুল, নাজমুল হুদা, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহ শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়।

মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির আলী আজম মো. আবুবকর, জেলা সেক্রেটারি আব্দুল আওয়াল, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হাই, কাজী ছাগীর আহম্মেদ, কালীগঞ্জ উপজেলা আমির আব্দুল হক, নায়েবে আমির মাওলানা মো. আবু তালিব, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আমির বাবুল হোসেন, শৈলকূপা উপজেলা আমির এস এম মতিউর রহমান, ঝিনাইদহ শহর আমির অ্যাড. ইসমাইল হোসেন, শহর শিবিরের সভাপতি মেহেদী হাসান রাজু ও সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সমাবেশে জেলা আমির আলী আজম মো. আবু বক্কর বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হলেও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে জামায়াতে ইসলামী রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর দেশবাসী আশা করেছিল তারা সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন থেকে রেহাই পাবে। যারা মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন, তারা মুক্তি পাবে। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর ফাঁসির আসামিসহ অনেকেই মুক্তি পেলেও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। তার মুক্তি না হওয়ায় দেশবাসী বিস্মিত ও হতবাক বলেও জেলা জামায়াত আমির উল্লেখ করেন।