ইপেপার । আজ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

দামুড়হুদার বদনপুরে রঞ্জু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, নারীসহ দুজন গ্রেপ্তার

পরকীয়া সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদার বদনপুর গ্রামের মাসুদ হাসান রঞ্জু (২৬) হত্যার মূল রহস্য উন্মোচন ও হত্যার ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরকীয়া প্রেম জেনে যাওয়া ও বাধা দেওয়ায় কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকার করেছেন আসামিরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দামুড়হুদার বদনপুর গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে হুমায়ূন কবির (৪১) ও একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ সুলতানা (২৭)।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ জানায়, গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেচ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন রঞ্জু। দুপুর গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার পিতা বিকেলে খাবার নিয়ে ভুট্টাখেতে যান। ছেলেকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। সন্ধ্যা নামার পরও রঞ্জুর খোঁজ না মেলায় পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তল্লাশি শুরু করেন এবং একপর্যায়ে ভুট্টাখেতে রক্তাক্ত অবস্থায় রঞ্জুর মরদেহ খুঁজে পান। পরদিন নিহত রঞ্জুর পিতা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে মাঠে নামে এবং রাত সাড়ে ১২টার দিকে সন্দেহভাজন হুমায়ুন কবিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ুন কবির হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালতে স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হুমায়ূন কবির বলেন, একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ সুলতানার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রঞ্জু শাহানাজের মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে যেতেন এবং তাদের সম্পর্কের কথা জেনে স্থানীয়দের জানান। বিষয়টি জানার পর শাহানাজ, হুমায়ুনকে রঞ্জুকে হত্যার প্রস্তাব দেন এবং হুমায়ুন তা মেনে নেন। গত রোববার সকালে ভুট্টাখেতে সেচ দেওয়ার সময় পরিকল্পনামাফিক রঞ্জুর মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করেন এবং নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য আরও দুটি কোপ দেন। হত্যার পর কোদাল ক্যানেলে ফেলে বাড়ি ফিরে যান।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। তারা স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দামুড়হুদার বদনপুরে রঞ্জু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, নারীসহ দুজন গ্রেপ্তার

পরকীয়া সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় কুপিয়ে হত্যা

আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দামুড়হুদার বদনপুর গ্রামের মাসুদ হাসান রঞ্জু (২৬) হত্যার মূল রহস্য উন্মোচন ও হত্যার ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরকীয়া প্রেম জেনে যাওয়া ও বাধা দেওয়ায় কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকার করেছেন আসামিরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দামুড়হুদার বদনপুর গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে হুমায়ূন কবির (৪১) ও একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ সুলতানা (২৭)।

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ জানায়, গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেচ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন রঞ্জু। দুপুর গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার পিতা বিকেলে খাবার নিয়ে ভুট্টাখেতে যান। ছেলেকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। সন্ধ্যা নামার পরও রঞ্জুর খোঁজ না মেলায় পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তল্লাশি শুরু করেন এবং একপর্যায়ে ভুট্টাখেতে রক্তাক্ত অবস্থায় রঞ্জুর মরদেহ খুঁজে পান। পরদিন নিহত রঞ্জুর পিতা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে মাঠে নামে এবং রাত সাড়ে ১২টার দিকে সন্দেহভাজন হুমায়ুন কবিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ুন কবির হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালতে স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হুমায়ূন কবির বলেন, একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজ সুলতানার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রঞ্জু শাহানাজের মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে যেতেন এবং তাদের সম্পর্কের কথা জেনে স্থানীয়দের জানান। বিষয়টি জানার পর শাহানাজ, হুমায়ুনকে রঞ্জুকে হত্যার প্রস্তাব দেন এবং হুমায়ুন তা মেনে নেন। গত রোববার সকালে ভুট্টাখেতে সেচ দেওয়ার সময় পরিকল্পনামাফিক রঞ্জুর মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করেন এবং নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য আরও দুটি কোপ দেন। হত্যার পর কোদাল ক্যানেলে ফেলে বাড়ি ফিরে যান।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। তারা স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’