পেকিন হাঁস পালন করে ভাগ্য বদলাচ্ছে নারীদের
- আপলোড টাইম : ০৫:২৩:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ১৮ বার পড়া হয়েছে
দামুড়হুদা উপজেলায় পেকিন হাঁস পালন করে ভাগ্য বদলেছে ১০ নারীর। তিন মাস আগে পিকেএসএফ-এর অর্থায়ন ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রামের ১০ জন নারী পেকিন হাঁসের বাঁচ্চা নিয়ে সফলতা অর্জন করেছেন। পেকিন হাঁস পালনে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে হতদরিদ্র ক্ষুদ্র খামারী সদস্যদের জন্য ৫০ করে পেকিন হাঁসের বাচ্চা প্রদান, স্বল্প খরচে চিকিৎসাকালীন ওষুধ ও বিনা মূল্যে ৫০ কেজি পোল্ট্রি ফিড প্রদান করা হয়। এর ফলে দরিদ্র খামারী পরিবারগুলো হাঁস পালনে সফল হয়েছে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। বিনামূল্যে হাঁসের বাচ্চা ও খাদ্য পেয়ে খুশি সুবিধাভোগী পরিবারগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহায়তায় পারকৃষ্ণপুর গ্রামের ১০টি দরিদ্র পরিবারকে ‘সমন্বিত কৃষি ইউনিট’ থেকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য খামারী সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ফ্রি প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে পেকিন হাঁস পালনে তারা তাদের অভাবী সংসারকে আলোকিত করেছে। পারকৃষ্ণপুর গ্রামের ১০ জন নারী এখন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল।
পেকিন হাঁস পালনে সফলতার গল্প জানিয়ে রুবিনা খাতুন বলেন, ‘বিদেশী জাতের পেকিন হাঁস ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ৩-৪ কেজি ওজন হয়। এ হাঁসের মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। রোগ-ব্যাধী কম হওয়ায় বাচ্চা পালনে মৃত্যু হারও কম।’ একই গ্রামের শরিফা খাতুন বলেন, ‘পেকিন হাঁস পালনের জন্য মাচা পদ্ধতিতে ছোট আকারে একটি ঘর তৈরি করলে রোগ-ব্যধি কম হবে এবং হাঁসের পায়খানা জৈব সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া পেকিন হাঁস দলবদ্ধভাবে থাকতে পছন্দ করে। এই হাঁস পালন করে আমার পরিবারের জন্য একটি বাড়তি আয় হচ্ছে, যা আমাকে অনেক খুশি করছে।’
এ বিষয়ে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘পারকৃষ্ণপুর গ্রামে কিছু নারীর গবাদি পশুপালনে সহায়ক পদ্ধতি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০ জন নারীকে পেকিন হাঁসের বাচ্চা প্রদান করা হয়েছে। এই হাঁস পালনে তারা সফল, কারণ ৮০-৯০ দিনের মধ্যে হাঁসগুলো বিক্রি করা যায়। রোগ কম, খাবারের চিন্তা নেই এবং এতে পেকিন হাঁস পালনে এ এলাকার নারীদের উদ্যোগ এখন বেশ সফল।’
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী মো. কামরুজ্জামান যুদ্ধ বলেন, ‘আমরা চাই দরিদ্র পরিবারগুলো আর্থিকভাবে মুক্তি লাভ করুক। পেকিন হাঁস পালনে বাচ্চা থেকে শুরু করে খামার তৈরিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। তাদের সফলতা ধরে রাখতে লাভসহ হাঁস পালনে খামার বড় করার চেষ্টা করছে অনেকেই। এছাড়াও আমাদের নিজস্ব ডিভিএম ডাক্তারদের মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হচ্ছে। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে।’