দামুড়হুদার বদনপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রঞ্জুর দাফন সম্পন্ন
মেলেনি হত্যার রহস্য, দুজন পুলিশ হেফাজতে
- আপলোড টাইম : ০৬:০০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ৩৪ বার পড়া হয়েছে
দামুড়হুদা উপজেলার বদনপুরে মাসুদ হাসান রঞ্জু হত্যার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের একাধিক টিম। তবে এখনো মেলেনি কোনো ক্লু। এদিকে, গতকাল সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট রঞ্জুর লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। আসরের নামাজের পর জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
নিহত রঞ্জুর শ্বশুর ডালিম বলেন, ‘আমার জামাইকে শবে বরাতের দিন দাওয়াত করে ডেকে এনেছিলাম। পরের দিন সে বাড়ি চলে যায়। মারা যাওয়ার দিনও বেলা ১১টার দিকে আমার মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়। তখনো সে বলছে ভুট্টার জমিতে পানি দিচ্ছে। এটাই আমার মেয়ের সাথে জামাইয়ের শেষ কথা। আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। মাগরিবের আজানের পর শুনছি আমার জামাইকে কে বা কারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এর হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রঞ্জু ভালো ছেলে, এলাকার কারো সাথে কোনো গ্যাঞ্জাম-গন্ডগোলের ভেতর নেই। তাহলে এই ছেলেকে কারা হত্যা করল। বদনপুর গ্রামে গুঞ্জন উঠেছে সে নাকি পরকীয়া করতে দেখে ফেলেছিল। কিন্তু তারা কারা ছিল, এ বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। সঠিক করে কেউ বলতে পারছে না কে বা কারা এই পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল এবং কাদেরকে রঞ্জু দেখে ফেলেছিল।
একটি সূত্র বলছে, পরকীয়ার নারীটি নাকি হুমায়ুনের প্রেমিকা। তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ মুখ খোলেনি। জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ুন এবং ওই নারীর কাছ থেকে কী তথ্য পাওয়া গেছে, তা এখনো জানা যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা দুজনেই থানায় পুলিশ হেফাজতে ছিল।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে এখনো তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। এলাকাবাসী সূত্রে শোনা গেছে, তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে। তবে এ বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাইনি। তদন্ত চলছে, আশা করি খুব দ্রুত আমরা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পারব।’