চুয়াডাঙ্গায় নাফি টেলিকমে দুর্ধর্ষ চুরির ২ মাসেও আটক হয়নি চোর
মালামাল উদ্ধার না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা
- আপলোড টাইম : ০৬:৫৬:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা শহরের নাফি টেলিকমের আলোচিত চুরির ঘটনাটি প্রায় দুই মাস হতে আসলো। তবে এখনো কোনো চোরকে আটক বা চুরি হওয়া ২৮ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গত দুই মাসে কাউকে আটক করতে না পারাই ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুলিশের থেকেও কি চোরের দল স্মার্ট? এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত নাফি টেলিকমের মালিক বিভিন্নভাবে পুলিশকে সহায়তা করলেও কোনো কূল-কিনারা পারছে না পুলিশ।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রিন্স প্লাজা মার্কেটের সাথে নাফি টেলিকমে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর দিবাগত ভোররাতে এক দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। এক দল সঙ্গবদ্ধ চোর তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে। দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নগদ ৭ লাখ টকাসহ বেশ কয়েকটি ফোন চুরি করে নিয়ে যায় তারা। পরে দোকান থেকে বের হয়ে আবার নতুন তালা লাগিয়ে দিয়ে সটকে পড়ে চোর চক্রটি।
ওই সময় নাফি টেলিকমের মালিক মাইনুল হাসান রিপন জানিয়েছিলেন, মোবাইল ফোন ও নগদ টকাসহ প্রায় ২৮ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় ওই চোরের দল। সে সময় চুরির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অথচ প্রায় দুই মাসেও কাউকে আটক বা মালামাল উদ্ধার করতে না পারাই চরম হতাশাগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। চুরির ঘটনার পর ২৪ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ীরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধনও করেন।
নাফি টেলিকমের মালিক মাাইনুল হাসান রিপন বলেন, ওই চোর চক্রটি তার দোকান থেকে চুরি করে বের হয়ে দর্শনার একটি হোটেলে খাবার খেয়েছে। ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। গত ২০-২৫ দিন আগে চুরি হওয়া কয়েকটি ফোনের আইএমইআই নম্বর অ্যাক্টিভেট হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন ওই চোর চক্রটি আটক হচ্ছে না, সে বিষয়ে তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহিতুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের ৬ জন আসামিকে শ্যেন এরেস্ট দেখানো হয়েছে। ধারণা করছি, ওদের মধ্যে চোর থাকতে পারে। তাই আজ (সোমবার) আদালতে ওই ৬ আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।