ইপেপার । আজ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

রক্তচক্ষু-ধমক আমলে নেবেন না ডিসিদের প্রধান উপদেষ্টা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

কাজের ক্ষেত্রে কারো রক্তচক্ষু বা ধমক আমলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাঠ প্রশাসনকে আইন অনুযায়ী দেশের জন্য কাজ করতে বলেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার‌্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কারও রক্তচক্ষুর কারণে, কারো ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নাই। অন্তত এ (অর্ন্তর্বতী সরকারের) সময় টুকুতে। আমি নিজের মতো করে যেটাই আইন, যেটা দেশের জন্য করা দরকার সেটা করবো। সে কাজেই আমি ব্যস্ত থাকবো যাতে আমি করতে পারি।

সরকার মানেই হয়রানি এ ধারণা উল্টে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিনা কারণে মানুষকে হয়রানি করা হয়। হয়রানি করাটাই যেন আমাদের ধর্ম! সরকার মানেই মানুষকে হয়রান্তিএটার থেকে উল্টে দাও। সরকার ভিন্ন জিনিস, আপনার অধিকার আপনার দরজায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের কাজ। এটাই যেন আমরা স্মরণ রাখি।

দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা যেহেতু এমন পরিস্থিতিতে এসেছি, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু হয়ে গেল। এটাতে আমরা কে কী পরিমাণে অগ্রসর হলাম, কী করণীয়্তএটা এক নম্বর বিবেচ্য বিষয়। আইন-শৃঙ্খলায় আমরা যেন বিফল না হই, কারণ এটাতে আমাদের সমস্ত অর্জন সফলভাবে অর্জিত হতে বা বিফলতায় পর‌্যবসিত হতে পারে। সেটাই নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা হোক। ফিরে যাওয়ার পর যেন এটা বোঝার মধ্যে কোনো গলদ না থাকে।

দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে তোষামোদ বা চাটুকারিতার যে সংস্কৃতি চালু রয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যা করি, যা চিন্তা করি, যা পরিকল্পনা করি- সেটাই সরকার, সেটাই সরকারের চিন্তা, সরকারের ভাবনা। সেটাই সরকারের কর্তব্য। কাজেই এই মহাশক্তি নিয়ে আমরা কী কাজ করব, কী কাজের জন্য আমরা তৈরি, কী কাজে আমরা সফল, কী কাজে আমরা বিফল-সেগুলোই আজকের সমাবেশের আলোচ্য বিষয়। সেখানে কাউকে স্তুতি দিয়ে সময় নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। এই স্তুতি বাক্য পরিহার করার আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। সভা-সমিতিতে স্তুতি বাক্য খুব অগ্রহণযোগ্য জিনিস বলে আমরা চালু করব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

রক্তচক্ষু-ধমক আমলে নেবেন না ডিসিদের প্রধান উপদেষ্টা

আপলোড টাইম : ০৯:৪৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কাজের ক্ষেত্রে কারো রক্তচক্ষু বা ধমক আমলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাঠ প্রশাসনকে আইন অনুযায়ী দেশের জন্য কাজ করতে বলেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার‌্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কারও রক্তচক্ষুর কারণে, কারো ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নাই। অন্তত এ (অর্ন্তর্বতী সরকারের) সময় টুকুতে। আমি নিজের মতো করে যেটাই আইন, যেটা দেশের জন্য করা দরকার সেটা করবো। সে কাজেই আমি ব্যস্ত থাকবো যাতে আমি করতে পারি।

সরকার মানেই হয়রানি এ ধারণা উল্টে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিনা কারণে মানুষকে হয়রানি করা হয়। হয়রানি করাটাই যেন আমাদের ধর্ম! সরকার মানেই মানুষকে হয়রান্তিএটার থেকে উল্টে দাও। সরকার ভিন্ন জিনিস, আপনার অধিকার আপনার দরজায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের কাজ। এটাই যেন আমরা স্মরণ রাখি।

দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা যেহেতু এমন পরিস্থিতিতে এসেছি, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু হয়ে গেল। এটাতে আমরা কে কী পরিমাণে অগ্রসর হলাম, কী করণীয়্তএটা এক নম্বর বিবেচ্য বিষয়। আইন-শৃঙ্খলায় আমরা যেন বিফল না হই, কারণ এটাতে আমাদের সমস্ত অর্জন সফলভাবে অর্জিত হতে বা বিফলতায় পর‌্যবসিত হতে পারে। সেটাই নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা হোক। ফিরে যাওয়ার পর যেন এটা বোঝার মধ্যে কোনো গলদ না থাকে।

দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে তোষামোদ বা চাটুকারিতার যে সংস্কৃতি চালু রয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যা করি, যা চিন্তা করি, যা পরিকল্পনা করি- সেটাই সরকার, সেটাই সরকারের চিন্তা, সরকারের ভাবনা। সেটাই সরকারের কর্তব্য। কাজেই এই মহাশক্তি নিয়ে আমরা কী কাজ করব, কী কাজের জন্য আমরা তৈরি, কী কাজে আমরা সফল, কী কাজে আমরা বিফল-সেগুলোই আজকের সমাবেশের আলোচ্য বিষয়। সেখানে কাউকে স্তুতি দিয়ে সময় নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। এই স্তুতি বাক্য পরিহার করার আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। সভা-সমিতিতে স্তুতি বাক্য খুব অগ্রহণযোগ্য জিনিস বলে আমরা চালু করব।’