ইপেপার । আজ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

আলমডাঙ্গায় স্বামী ধূমপান করায় অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে মুন্নি খাতুন (১৪) নামে এক নাবালিকা নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বড়বোয়ালিয়া গ্রামে নিজ পিতার বাড়িতে আত্মহত্যা করে সে। পরিবারের সদস্যরা ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হারদী হাসপাতাল) নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মুন্নি খাতুন উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বড়বোয়ালিয়া গ্রামের চা দোকানি বুলবুলির মেয়ে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয় পাশের গাংনী ইউনিয়নের মোচাইনগর গ্রামের ডেকোরেশন মিস্ত্রী নাইম হাসানের সঙ্গে। তবে তাদের মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।

নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গার ওসমানপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মুন্নির বয়স ১২-১৩ বছর হতে পারে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে হয়। শনিবার মুন্নির চাচাতো দাদী মারা গেলে স্বামীকে নিয়ে দেখতে যান তিনি। সেখানে স্বামী ধূমপান করতে পাশের দোকানে যেতে চাইলে মুন্নি নিষেধ করেন এবং আত্মহত্যার হুমকি দেন। কিন্তু স্বামী দোকানে গেলে অভিমান করে বিকেলে বাবার বাড়িতে ফিরে আত্মহত্যা করেন তিনি।

এসআই আলমগীর আরও জানান, রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয় এবং সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। যেহেতু পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই, তাই একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এমন ঘটনা দুঃখজনক। স্বামীর ধূমপান নিয়ে মনোমালিন্যের জেরেই মুন্নি আত্মহত্যা করেছে।’ এদিকে, গতকাল সকাল ১০টায় জানাজা শেষে বড়বোয়ালিয়া পূর্বপাড়া কবরস্থানে মুন্নির দাফন সম্পন্ন করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গায় স্বামী ধূমপান করায় অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ০৯:৪৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আলমডাঙ্গায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে মুন্নি খাতুন (১৪) নামে এক নাবালিকা নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বড়বোয়ালিয়া গ্রামে নিজ পিতার বাড়িতে আত্মহত্যা করে সে। পরিবারের সদস্যরা ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হারদী হাসপাতাল) নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মুন্নি খাতুন উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বড়বোয়ালিয়া গ্রামের চা দোকানি বুলবুলির মেয়ে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয় পাশের গাংনী ইউনিয়নের মোচাইনগর গ্রামের ডেকোরেশন মিস্ত্রী নাইম হাসানের সঙ্গে। তবে তাদের মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।

নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গার ওসমানপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মুন্নির বয়স ১২-১৩ বছর হতে পারে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে হয়। শনিবার মুন্নির চাচাতো দাদী মারা গেলে স্বামীকে নিয়ে দেখতে যান তিনি। সেখানে স্বামী ধূমপান করতে পাশের দোকানে যেতে চাইলে মুন্নি নিষেধ করেন এবং আত্মহত্যার হুমকি দেন। কিন্তু স্বামী দোকানে গেলে অভিমান করে বিকেলে বাবার বাড়িতে ফিরে আত্মহত্যা করেন তিনি।

এসআই আলমগীর আরও জানান, রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয় এবং সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। যেহেতু পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই, তাই একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এমন ঘটনা দুঃখজনক। স্বামীর ধূমপান নিয়ে মনোমালিন্যের জেরেই মুন্নি আত্মহত্যা করেছে।’ এদিকে, গতকাল সকাল ১০টায় জানাজা শেষে বড়বোয়ালিয়া পূর্বপাড়া কবরস্থানে মুন্নির দাফন সম্পন্ন করা হয়।