চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে পবিত্র শবে বরাত পালিত
ইবাদত, দোয়া ও মোনাজাতে অতিবাহিত রাত
- আপলোড টাইম : ১০:০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় বিশেষ ইবাদত, দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই মসজিদগুলোতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ভিড় দেখা যায়। এশার নামাজের পর থেকে বিভিন্ন মসজিদে কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির-আজকার ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এ রাতে আল্লাহ তা’আলা বান্দার গুনাহ মাফ করেন এবং রিজিক ও ভাগ্য নির্ধারণ করেন। এ উপলক্ষে মানুষ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত ও বিশেষ দোয়া করেন।
চুয়াডাঙ্গা কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম রুহুল আমিন বলেন, ‘শবে বরাত আমাদের জন্য বিশেষ রহমতের রাত। আমরা এ রাতে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাই এবং ভবিষ্যতের জন্য কল্যাণ কামনা করি।’
এদিকে, মুসলিম উম্মাহর কাছে এক মহিমান্বিত, তাৎপর্যমণ্ডিত ও ফজিলতপূর্ণ রাত পবিত্র শব-ই-বরাত উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের উদ্যোগে বাদ মাগরিব পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পুলিশের সকল পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও সদস্যদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা। এ সময় জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সকল পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মাহফিলে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
এদিন, জুম্মার নামাজ ও দিনের প্রতিটি নামাজের ওয়াক্তে সব মসজিদে মুসল্লিদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। লাইলাতুল বরাতের রাতে মুসুল্লিদের মরহুম মুরুব্বীয়ানদের কবর, মাজার জিয়ারত করে রুহের মাগফিরাত কামনায় শহর বিভিন্ন গোরস্থানে সমবেত হতে দেখা যায়।
এদিকে, মেহেরপুর সদর উপজেলার মসজিদগুলোতেও শবে বরাত উপলক্ষে জুম্মার নামাজের পর থেকে ভোর পর্যন্ত মুসল্লিরা কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির-আজকার ও বিশেষ দোয়া করেন। স্থানীয় বাসিন্দা নূর ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর শবে বরাতের রাতে বিশেষ ইবাদত করি। পরিবারের সবাই মিলে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নিই।’
ঝিনাইদহেও ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাতটি পালন করা হয়। শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে মুসল্লিরা রাতভর ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকেন। শবে বরাত উপলক্ষে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে হালুয়া-রুটি তৈরি করে আত্মীয়-স্বজন ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল, যাতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে। সাধারণভাবে, শবে বরাত উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে একধরনের আধ্যাত্মিক আবহ তৈরি হয়। এবারের শবে বরাতও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীরে্যর মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।