ইপেপার । আজ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

পাঁচকমলাপুর আলিয়াটনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিদায় ও নবীনবরণ

শিক্ষা ও মূল্যবোধ জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে- শরীফুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১১:২৭:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে


আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুর আলিয়াটনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর আলিয়াটনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘পাঁচকমলাপুর আমার জন্মস্থান। বাবার চাকরির কারণে এখানে লেখাপড়ার সুযোগ না পেলেও প্রতি বছর রোজা ও ঈদের ছুটিতে দীর্ঘ সময় এখানে কাটিয়েছি। এই গ্রামের প্রতি আমার আত্মার টান চিরকালের।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, বিদায় ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আমাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আয়োজকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ছোটবেলায় কখনো ভাবিনি যে, একদিন এই বিদ্যালয়ের মঞ্চে অতিথি হয়ে দাঁড়াব। এটি আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের পর শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। আজ যারা মাধ্যমিক পর্যায় শেষ করে নতুন পথে যাত্রা শুরু করছে, তারা এক দিন উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। আমি সকল শিক্ষার্থীকে মনে করিয়ে দিতে চাই, নিজের গ্রাম, শহর ও জন্মস্থানকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। একজন মানুষের প্রকৃত সাফল্য তখনই আসে, যখন সে নিজের জন্মস্থানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। তোমরা বড় হয়ে যদি নিজের গ্রামের কথা মনে রেখে কাজ করো, তাহলে এক দিন দেশের প্রতিটি গ্রাম হয়ে উঠবে আদর্শ গ্রাম।’

বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তোমরা যারা দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ের ছায়ায় লালিত হয়েছো, শিক্ষকদের স্নেহ ও যত্নে শিক্ষার আলো গ্রহণ করেছো, আজ বিদায়ের দিনে তোমাদের মনে নানা অনুভূতি কাজ করছে। বিদ্যালয়, শিক্ষক ও বন্ধুদের ছেড়ে যাওয়া সহজ নয়। তবে মনে রেখো, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই তোমাদের ভবিষ্যৎ পথচলার ভিত তৈরি করেছে। এই বিদ্যালয়ের অর্জিত শিক্ষা ও মূল্যবোধ তোমাদের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেরেগুল ইসলাম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক লালন শাহ ও সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লোকমান হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির নেতা একরামুল হক ইকরা, জেলা ছাত্রদলের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন, যুবদল নেতা তুশার আহমেদ ও বায়জিত হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিদায়ী শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে এবং নবীন শিক্ষার্থীদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং তাদের জন্য শুভকামনা জানান। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

পাঁচকমলাপুর আলিয়াটনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিদায় ও নবীনবরণ

শিক্ষা ও মূল্যবোধ জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে- শরীফুজ্জামান

আপলোড টাইম : ১১:২৭:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫


আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুর আলিয়াটনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর আলিয়াটনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘পাঁচকমলাপুর আমার জন্মস্থান। বাবার চাকরির কারণে এখানে লেখাপড়ার সুযোগ না পেলেও প্রতি বছর রোজা ও ঈদের ছুটিতে দীর্ঘ সময় এখানে কাটিয়েছি। এই গ্রামের প্রতি আমার আত্মার টান চিরকালের।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, বিদায় ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আমাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আয়োজকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ছোটবেলায় কখনো ভাবিনি যে, একদিন এই বিদ্যালয়ের মঞ্চে অতিথি হয়ে দাঁড়াব। এটি আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের পর শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। আজ যারা মাধ্যমিক পর্যায় শেষ করে নতুন পথে যাত্রা শুরু করছে, তারা এক দিন উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। আমি সকল শিক্ষার্থীকে মনে করিয়ে দিতে চাই, নিজের গ্রাম, শহর ও জন্মস্থানকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। একজন মানুষের প্রকৃত সাফল্য তখনই আসে, যখন সে নিজের জন্মস্থানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। তোমরা বড় হয়ে যদি নিজের গ্রামের কথা মনে রেখে কাজ করো, তাহলে এক দিন দেশের প্রতিটি গ্রাম হয়ে উঠবে আদর্শ গ্রাম।’

বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘তোমরা যারা দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ের ছায়ায় লালিত হয়েছো, শিক্ষকদের স্নেহ ও যত্নে শিক্ষার আলো গ্রহণ করেছো, আজ বিদায়ের দিনে তোমাদের মনে নানা অনুভূতি কাজ করছে। বিদ্যালয়, শিক্ষক ও বন্ধুদের ছেড়ে যাওয়া সহজ নয়। তবে মনে রেখো, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই তোমাদের ভবিষ্যৎ পথচলার ভিত তৈরি করেছে। এই বিদ্যালয়ের অর্জিত শিক্ষা ও মূল্যবোধ তোমাদের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেরেগুল ইসলাম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক লালন শাহ ও সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লোকমান হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির নেতা একরামুল হক ইকরা, জেলা ছাত্রদলের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন, যুবদল নেতা তুশার আহমেদ ও বায়জিত হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিদায়ী শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে এবং নবীন শিক্ষার্থীদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং তাদের জন্য শুভকামনা জানান। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।