এবার কথা দিয়েও ধর্ষণ ও হত্যার শিকার সুমাইয়ার বাড়িতে গেলেন না লোকমোর্চার কেউ
- আপলোড টাইম : ১০:৪৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
প্রতিশ্রুতি দিয়েও গত ৫ বছর দর্শনায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার সুমাইয়ার খোঁজখবর নেয়নি লোকমোর্চোর কেউ। বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সুমাইয়ার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল লোকমোর্চার সদস্যদের। তবে তারা কেউ যায়নি।
জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে লোকমোর্চা পরিচালনার সাথে যুক্ত ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল আলিম সজল ফোন করে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় সুমাইয়ার বাড়িতে যাবে জেলা লোকমোর্চা টিম। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ফোন করে সাংবাদিকদের জানান, জেলা লোকমোর্চা পারকৃষ্ণপুর যাচ্ছে না। কী কারণে আসবে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট সুমাইয়ার মামলার বিষয়ে কোট থেকে খোঁজখবর নিয়েছেন। এ কারণে আর পারকৃষ্ণপুর সুমাইয়ার বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মাঠে একই গ্রামের গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোমিনুল ইসলামের (২০) বিরুদ্ধে সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠে। এরপর নুর ইসলামের ছেলে মোমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে সুমাইয়ার মা পলি খাতুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা দায়রা জজ আদালতে ধর্ষণ হত্যা মামলা করেন। ওই সময় লোকমোর্চা থেকে সহযোগিতার আশ^াস দেওয়া হয়েছিল। তবে ৫ বছরে কেউ কোনো খোঁজখবর নেয়নি।
এদিকে, গত ৫ বছর ১৪ দিনের মধ্যে সুমাইয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষী হয়ে গেছে। শুধু মাত্র ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষী বাকি আছে। গত ১২/০২/২০২৫ তারিখ সাক্ষী হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামীতে সাক্ষীর তারিখ হবে বলে জানা গেছে।
সুমাইয়ার পরিবার ও স্থানীয় লোকজন বলেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন তাদের কার্যক্রমের অপকর্ম ঠেকাতে লোকমোর্চাকে শুধুমাত্র ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। লোকমোর্চার মূলত কাজ হলো শিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিচালনা করা। এখন লোকমোর্চার কাজ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন ধরনের উঠেছে। লোকমোর্চা মূলত ঘটনার শুরুতে তোড়জোড় দেখারেও পরবর্তীতে তেমন কোনো খোঁজখবর রাখে না। কেউ কেউ বলছেন, লোকমোর্চা শুধমাত্র ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রচার-প্রচারণা পেতে এবং এনজিওটি লোকমোর্চাকে তাদের অপকর্ম ঢাকতে ব্যবহার করে আসছে।