চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো অচলাবস্থা
- আপলোড টাইম : ১০:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ৩৬ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া-না দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো অচলাবস্থা অব্যহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার খোলা হয়নি অধ্যক্ষের কক্ষ ও প্রশাসনিক ভবন। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত দর্শন প্রথম বর্ষের পরীক্ষার জন্য আংশিকভাবে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান ছিল বলে জানা গেছে। নীতিমালা বহির্ভুত চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের পাঁয়তারার বিরুদ্ধে গতকালও পদবঞ্চিত শিক্ষকের পক্ষে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যহত ছিল।
আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা তৃতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন ও অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলতে দেয়নি কাউকে। এছাড়া প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত আন্দোলনকারী কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা পৌর কলেজ চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, ‘নীতিমালা বহির্ভূতভাবে কলেজের অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাহার ও যোগ্য শিক্ষককে দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যহত থাকবে। দিন যতই গড়াবে আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচির ধার ততই বাড়তে থাকবে। আমাদের যৌক্তিক দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হবে। যার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষের অবসরজনিত শূন্যতা পূরণে সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ (এডহক কমিটি) সভা আহ্বান করে। গভর্নিং বডির সেই সভায় চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শামীমা সুলতানাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে আন্দোলনকারীরা জানান।
আন্দোলনের মুখে সেটি চূড়ান্ত হয়নি বলেও নিশ্চিত করেন তারা। তবে আন্দোলনকারীরা আরো বলেন, মাউশি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি এবং নীতিমালা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ সহকারী অধ্যাপক নাজনীন আরা খাতুন-ই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দাবিদার। এ দাবি না মানা হলে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।