ইপেপার । আজ বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

দর্শনার কেরুজ ক্লাবের পাশে ভোরে বোমা বিস্ফোরণ

আরেক বোমা উদ্ধার করে ধ্বংস করল র‌্যাব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

দর্শনার কেরুজ ক্লাবের পাশে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া রাজশাহী থেকে ৬ সদস্যের একটি বোমা ডিসপোজাল টিম এসে রাত ৮টা ৩২ মিনিটে আরেকটি বোমা উদ্ধার করে কেরুজ ক্লাব মাঠে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দর্শনা কেরুজ ক্লাব ক্যান্টিনের পাশে ঝোপের মধ্যে একটি লাল টেপ দিয়ে জড়ানো বোমা সদৃশ বস্তু দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রাজশাহীর বোমা উদ্ধারকারী দলকে খবর দেয়। এরপর রাজশাহী থেকে রাত ৮টা ২০ মিনিটের সময় র‌্যাবের ৬ সদস্যের একটি দল এসে বোমাটি উদ্ধার করে দর্শনা কেরুজ ক্লাব মাঠে বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় বোমার বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে উঠে।
বোমাটি বিস্ফারণ ঘটানোর সময় পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বোমাটি কতটা শক্তিশালী জানতে চাইলে রাজশাহী বোমা উদ্ধারকারী দল সাংবাদিকদের কোনো কিছু না জানিয়ে চলে যান। এরপর দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শহীদ তিতুমীর জানান, এটি একটি ককটেল বোমার সদৃশ। বোমাটি নিয়ে কেরুজ ক্লাব মাঠ এলাকায় দিনভর আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

এর আগে এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর বলেছিলেন, ‘আমি ঘটনা শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে কেরু ক্লাব এলাকা লাল ফিতা দিয়ে ঘিরে রেখেছিলাম। আমাদের পুলিশ এলাকা ঘিরে রেখেছে।’

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে দর্শনা কেরুজ ক্লাবের পাশে বিকট একটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এসময় বোমার শব্দের আতঙ্কে ঘুম ভেঙ্গে যায় এলাকাবাসীর। এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত এ বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি বোমা ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। একই স্থানে আর একটি বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এলাকাবাসী জানায়, ভোরে দর্শনা কেরুজ জেনারেল অফিসের অদূরে ক্লাবের পাশে একদল দুষ্কৃতিকারীরা লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ভোরের দিকে। পরে কেরু এলাকাবাসী বিকট শব্দ কোথা থেকে আসছে তা জানার চেষ্টা করেন। পরিচিতজনদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। সকালে এলাকাবাসী কেরু ক্লাবের পাশে ঝোপের মধ্যে দেখতে পায় লাল কসটেপ দিয়ে মোড়ানো বোমা পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও দর্শনা থানার অফিসার (ওসি) ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর। এছাড়া ঘটনাস্থলে আসেন চুয়াডাঙ্গা ৫৫ পদাতিক হুমায়ন আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি সেনাবাহিনী দল।

এ নিয়ে দর্শনা কেরুজ ক্লাব মাঠে রাজশাহী থেকে বোমা উদ্ধারকারী দল দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটালেন। গত বছরের ৯ অক্টোবর দর্শনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যুরে‌্যা বাংলাদেশ অফিসে ডাকাতি করতে এসে একই ধরনের একটি বোমা অফিসে রেখে পালিয়ে যায়। পরে রাজশাহী থেকে বোমা উদ্ধারকারী দল এসে বোমাটি উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে কেরুজ ক্লাব মাঠে বিস্ফোরণ ঘটায়। কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মধ্যে বোমা বিস্ফোরণ ও বোমা পাওয়াকে কেন্দ্র করে চিনিকলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দর্শনার কেরুজ ক্লাবের পাশে ভোরে বোমা বিস্ফোরণ

আরেক বোমা উদ্ধার করে ধ্বংস করল র‌্যাব

আপলোড টাইম : ১০:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দর্শনার কেরুজ ক্লাবের পাশে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া রাজশাহী থেকে ৬ সদস্যের একটি বোমা ডিসপোজাল টিম এসে রাত ৮টা ৩২ মিনিটে আরেকটি বোমা উদ্ধার করে কেরুজ ক্লাব মাঠে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দর্শনা কেরুজ ক্লাব ক্যান্টিনের পাশে ঝোপের মধ্যে একটি লাল টেপ দিয়ে জড়ানো বোমা সদৃশ বস্তু দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রাজশাহীর বোমা উদ্ধারকারী দলকে খবর দেয়। এরপর রাজশাহী থেকে রাত ৮টা ২০ মিনিটের সময় র‌্যাবের ৬ সদস্যের একটি দল এসে বোমাটি উদ্ধার করে দর্শনা কেরুজ ক্লাব মাঠে বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় বোমার বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে উঠে।
বোমাটি বিস্ফারণ ঘটানোর সময় পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বোমাটি কতটা শক্তিশালী জানতে চাইলে রাজশাহী বোমা উদ্ধারকারী দল সাংবাদিকদের কোনো কিছু না জানিয়ে চলে যান। এরপর দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শহীদ তিতুমীর জানান, এটি একটি ককটেল বোমার সদৃশ। বোমাটি নিয়ে কেরুজ ক্লাব মাঠ এলাকায় দিনভর আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

এর আগে এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর বলেছিলেন, ‘আমি ঘটনা শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে কেরু ক্লাব এলাকা লাল ফিতা দিয়ে ঘিরে রেখেছিলাম। আমাদের পুলিশ এলাকা ঘিরে রেখেছে।’

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে দর্শনা কেরুজ ক্লাবের পাশে বিকট একটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এসময় বোমার শব্দের আতঙ্কে ঘুম ভেঙ্গে যায় এলাকাবাসীর। এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত এ বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি বোমা ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। একই স্থানে আর একটি বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এলাকাবাসী জানায়, ভোরে দর্শনা কেরুজ জেনারেল অফিসের অদূরে ক্লাবের পাশে একদল দুষ্কৃতিকারীরা লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ভোরের দিকে। পরে কেরু এলাকাবাসী বিকট শব্দ কোথা থেকে আসছে তা জানার চেষ্টা করেন। পরিচিতজনদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। সকালে এলাকাবাসী কেরু ক্লাবের পাশে ঝোপের মধ্যে দেখতে পায় লাল কসটেপ দিয়ে মোড়ানো বোমা পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও দর্শনা থানার অফিসার (ওসি) ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর। এছাড়া ঘটনাস্থলে আসেন চুয়াডাঙ্গা ৫৫ পদাতিক হুমায়ন আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি সেনাবাহিনী দল।

এ নিয়ে দর্শনা কেরুজ ক্লাব মাঠে রাজশাহী থেকে বোমা উদ্ধারকারী দল দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটালেন। গত বছরের ৯ অক্টোবর দর্শনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যুরে‌্যা বাংলাদেশ অফিসে ডাকাতি করতে এসে একই ধরনের একটি বোমা অফিসে রেখে পালিয়ে যায়। পরে রাজশাহী থেকে বোমা উদ্ধারকারী দল এসে বোমাটি উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে কেরুজ ক্লাব মাঠে বিস্ফোরণ ঘটায়। কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মধ্যে বোমা বিস্ফোরণ ও বোমা পাওয়াকে কেন্দ্র করে চিনিকলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।