ইপেপার । আজ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে

শিক্ষক—শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১১:৪০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব দেয়া নিয়ে সমস্যা বেড়েই চলেছে। অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া নীতিমালার বহির্ভূত উল্লেখ করে শিক্ষক—কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় কলেজ চত্বর চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক—কর্মচারী নীতিমালা বহিভূর্ত নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ‘আজকে শামীমা সুলতানাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে এই শামীমা সুলতানার কারণেই চুয়াডাঙ্গা শহরের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে নেমে এসেছিল অন্ধকার। ওই কেন্দ্রের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক শামীমা সুলতানার একচোখা ও পক্ষপাত দুষ্ট নীতি বহির্ভূত ব্যবহারিক নম্বর দেওয়ার কারণে চুয়াডাঙ্গার অধিকাংশ মেধাবী শিক্ষার্থী পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে এ প্লাস মার্কস থেকে বঞ্চিত হয়। যার কারণে সে বছর চুয়াডাঙ্গার মেধাবী শিক্ষার্থীরা বুয়েট পরীক্ষার ফরম পর্যন্ত তুলতে পারেনি। সে সময় ভুক্তভোগী সে সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শামীমা সুলতানার বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত হয়েছিল। সেই তদন্তের ফলাফলে শামীমার পক্ষপাতমূলকভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলেও চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে চলে যায় চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজে। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আছে শামীমা সুলতানার বিরুদ্ধে।’
এদিকে কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় কলেজে মানববন্ধন করা করা হয়। এরপর দুপুর ১২টায় পদবঞ্চিত সহকারী অধ্যাপক মোসা. নাজনীন আরা খাতুনের সমর্থনকারী শিক্ষক—কর্মচারীরা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য যেটা পারফেক্ট হবে, সেটাই করা হবে। কে আন্দোলন করলো, তালা ঝুলালো, মানববন্ধন করল, সবই আমরা শুনেছি। নীতিমালা পর্যালোচনা করেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রয়োজনে আবারো নীতিমালা পর্যালোচনা করা হবে। প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল যাতে হয়, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে যোগ্য ব্যক্তিকেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে

শিক্ষক—শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

আপলোড টাইম : ১১:৪০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব দেয়া নিয়ে সমস্যা বেড়েই চলেছে। অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া নীতিমালার বহির্ভূত উল্লেখ করে শিক্ষক—কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় কলেজ চত্বর চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক—কর্মচারী নীতিমালা বহিভূর্ত নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ‘আজকে শামীমা সুলতানাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে এই শামীমা সুলতানার কারণেই চুয়াডাঙ্গা শহরের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে নেমে এসেছিল অন্ধকার। ওই কেন্দ্রের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক শামীমা সুলতানার একচোখা ও পক্ষপাত দুষ্ট নীতি বহির্ভূত ব্যবহারিক নম্বর দেওয়ার কারণে চুয়াডাঙ্গার অধিকাংশ মেধাবী শিক্ষার্থী পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে এ প্লাস মার্কস থেকে বঞ্চিত হয়। যার কারণে সে বছর চুয়াডাঙ্গার মেধাবী শিক্ষার্থীরা বুয়েট পরীক্ষার ফরম পর্যন্ত তুলতে পারেনি। সে সময় ভুক্তভোগী সে সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শামীমা সুলতানার বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত হয়েছিল। সেই তদন্তের ফলাফলে শামীমার পক্ষপাতমূলকভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলেও চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে চলে যায় চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজে। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আছে শামীমা সুলতানার বিরুদ্ধে।’
এদিকে কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় কলেজে মানববন্ধন করা করা হয়। এরপর দুপুর ১২টায় পদবঞ্চিত সহকারী অধ্যাপক মোসা. নাজনীন আরা খাতুনের সমর্থনকারী শিক্ষক—কর্মচারীরা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য যেটা পারফেক্ট হবে, সেটাই করা হবে। কে আন্দোলন করলো, তালা ঝুলালো, মানববন্ধন করল, সবই আমরা শুনেছি। নীতিমালা পর্যালোচনা করেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রয়োজনে আবারো নীতিমালা পর্যালোচনা করা হবে। প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল যাতে হয়, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে যোগ্য ব্যক্তিকেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’