আলমডাঙ্গায় বেনাপোল ও দর্শনা হল্টে সুন্দরবন স্টপেজের আশ্বাস
- আপলোড টাইম : ১১:৩৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ১৮ বার পড়া হয়েছে
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন ও চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেছেন রেলওয়ে পশ্চিমের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় দর্শনায় এবং দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় রেলওয়ে পশ্চিম জোনের প্রধান প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে চুয়াডাঙ্গায় রেলওয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলাপ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফের প্রস্তাবকৃত বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার আশ্বস্ত করেন রেলওয়ে পশ্চিমের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম।
জানা যায়, রেলওয়ে পশ্চিমের মহাব্যবস্থাপকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রথমে দর্শনায় পরিদর্শন শেষে চুয়াডাঙ্গায় আসেন। চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন তারা। চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের দৃষ্টিনন্দনকরণ তথা আধুনিক ভবনের নকশা ধরে ধরে রেলওয়ে পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম নিমার্ণাধীন ভবনটি ঘুরে দেখেন। নিচতলা এবং দ্বিতীয় তলার বেশকিছু ইন্টরিয়র ডিজাইনে তিনি পরামর্শ দেন।
এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রেলওয়ে পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলামের সাথে। শরীফুজ্জামান শরীফ চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্তর্গত রেলওয়ের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে এবং দর্শনা ও আলমডাঙ্গাবাসীর দাবি মতো ট্রেন থামানোর জন্য প্রস্তাব করেন।
এসময় রেলওয়ে পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘এ অঞ্চলের জনগণের দাবি নিয়ে আপনি কাজ করছেন। এর আগে আপনার সাথে রেল ভবনেও সাক্ষাৎ হয়েছে। আপনি সবসময় এই অঞ্চলের গণমানুষের দাবি বাস্তবায়নে তৎপর। আর আমরাও সেই একই কাজ করি। জনগণের সেবা দেওয়ায় রেলওয়ের কাজ। আমরা সেই কাজে বদ্ধ পরিকর। আলমডাঙ্গায় বেনাপোল এক্সপ্রেস থামার বিষয়ে সমীক্ষা চলছে। দ্রুতই এটি হয়ে যাবে। দর্শনাতেও সুন্দরবন এক্সপ্রেস দ্রুত থামবে। আপনাদের সকল দাবি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব।’ পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন উন্নয়নে ভূমিকা রাখার বিষয়েও তিনি আশ্বস্ত করেন।
এদিকে, দর্শনায় রেলওয়ে পশ্চিমের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলামের পরিদর্শনের খবর পেয়ে স্থানীয় ‘দর্শনার জন্য আমরা’ সংগঠনের আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি জানাতে ছুটে আসেন। এসময় তারা চারটি দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— দর্শনা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা, খুলনা থেকে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের আপ—ডাউন যাত্রায় দর্শনা হল্ট স্টেশনে যাত্রাবিরি ও দর্শনা—খুলনা রুটে ডাবল লাইন স্থাপন। এছাড়ও বিভিন্ন দাবি সম্বলিত একটি লিফলেট পশ্চিম জোনের ব্যবস্থাপকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কর্মকর্তারা সুন্দরবন এক্সপ্রেসের আপ—ডাউন যাত্রায় দর্শনা হল্ট স্টেশনে থামানোর সিদ্ধান্ত দেন। এছাড়া দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন থেকে রাজশাহী রুটে ট্রেন চালুর ব্যাপারে আশ্বাস দেন।
পরিদর্শনকালে রেলওয়ে পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ—ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস, রেলপথে ভারত থেকে পণ্য আমদানি—রপ্তানি, স্টেশনের আশপাশের অবৈধ দখল উচ্ছেদ, রেল বন্দরের ইয়ার্ড উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন, পানি সরবরাহ লাইন সংস্কারসহ রেলওয়ের বিভিন্ন সমস্যা দেখতে এসেছি। মূলত দর্শনা থেকে ট্রেন ছাড়ার বিষয়ে এখানকার ওয়াশপিট নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেছি।’
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পশ্চিম জোনের প্রধান প্রকৌশলী আশাদুল ইসলাম, প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তা শাহিদুজ্জামান সৈয়দ মো. শাহিদুজ্জামান, চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান, চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস, পাকসির বিভাগীয় প্রকৌশলী—১ আব্দুল হানিফ ও চুয়াডাঙ্গার সহকারী প্রকৌশলী চাঁন্দ আহমেদ।