ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

হরিণাকুণ্ডুতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মীকে হত্যার ঘটনা

কোটি টাকার ৩৭টি গরু লুট, বাড়িঘর ভাঙচুর

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রাম থেকে কোটি টাকা মূল্যের ৩৭টি গরু লুট হয়েছে। এছাড়া ৫—৬টি বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ঘরের জনিসপত্র ও সোনাদানা লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি সমর্থিত দুই গ্রুপে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আসামিদের বাড়িতে লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় ২০ জনকে আসামি করে হরিণাকুণ্ডু থানায় নিহত মোশারফ হোসেনের স্ত্রী ময়না খাতুন হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যা মামলায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মইনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ রউফ খান জানান, গত মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে সংঘর্ষে মোশারফ হোসেন নামে এক বিএনপি কমীর্ নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একই দিন বিকেলে হরিণাকুণ্ডু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮—১০ জনকে আসামি করা হয়। এদিকে, মোশাররফ হোসেন হত্যার পর আসামিদের বাড়িঘরে হামলা—ভাঙচুর ও গোয়াল ঘর থেকে গরু লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দলু ও হানেফ গ্রুপের সমর্থকরা বিএনপি নেতা সাইদের ৫টি, আমিরুলের ৩টি, মইনের ২টি, আমিরুলের ৪টি, আব্দুল জব্বারের ৫টি ও আব্দুল আলিমের ৩টিসহ মোট ৩৭ গরু নিয়ে গেছে। লুটকৃত এসব গরুর দাম প্রায় কোটি টাকা হবে বলে বিএনপি নেতা সাইদ জানান। এছাড়া বাদী পক্ষের লোকজন সাইদের বাড়ি থেকে দুই লাখ ও সারের দোকান থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এসময় দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। বর্তমান গ্রামটি পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। হত্যা মামলায় আসামি হয়ে বেশির ভাগ পুরুষ গ্রামছাড়া হয়েছে। এই সুযোগে দলু গ্রুপের সমর্থকরা ভাঙচুর লুটপাট চালিয়েছে।
স্থানীয় চাঁদপুর ইউনিয়নের মেম্বর আশরাফ উদ্দীন স্বপন জানান, হাকিমপুর গ্রাম থেকে একাধিক ব্যক্তির গরু লুট কথা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছেন। এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ রউফ খান জানান, গরু লুট বা বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুরের কোনো তথ্য তার কাছে নেই। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে তো থানায় অভিযোগ আসতো বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

হরিণাকুণ্ডুতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মীকে হত্যার ঘটনা

কোটি টাকার ৩৭টি গরু লুট, বাড়িঘর ভাঙচুর

আপলোড টাইম : ১০:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রাম থেকে কোটি টাকা মূল্যের ৩৭টি গরু লুট হয়েছে। এছাড়া ৫—৬টি বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ঘরের জনিসপত্র ও সোনাদানা লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি সমর্থিত দুই গ্রুপে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আসামিদের বাড়িতে লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় ২০ জনকে আসামি করে হরিণাকুণ্ডু থানায় নিহত মোশারফ হোসেনের স্ত্রী ময়না খাতুন হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যা মামলায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মইনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ রউফ খান জানান, গত মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে সংঘর্ষে মোশারফ হোসেন নামে এক বিএনপি কমীর্ নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একই দিন বিকেলে হরিণাকুণ্ডু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮—১০ জনকে আসামি করা হয়। এদিকে, মোশাররফ হোসেন হত্যার পর আসামিদের বাড়িঘরে হামলা—ভাঙচুর ও গোয়াল ঘর থেকে গরু লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দলু ও হানেফ গ্রুপের সমর্থকরা বিএনপি নেতা সাইদের ৫টি, আমিরুলের ৩টি, মইনের ২টি, আমিরুলের ৪টি, আব্দুল জব্বারের ৫টি ও আব্দুল আলিমের ৩টিসহ মোট ৩৭ গরু নিয়ে গেছে। লুটকৃত এসব গরুর দাম প্রায় কোটি টাকা হবে বলে বিএনপি নেতা সাইদ জানান। এছাড়া বাদী পক্ষের লোকজন সাইদের বাড়ি থেকে দুই লাখ ও সারের দোকান থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এসময় দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। বর্তমান গ্রামটি পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। হত্যা মামলায় আসামি হয়ে বেশির ভাগ পুরুষ গ্রামছাড়া হয়েছে। এই সুযোগে দলু গ্রুপের সমর্থকরা ভাঙচুর লুটপাট চালিয়েছে।
স্থানীয় চাঁদপুর ইউনিয়নের মেম্বর আশরাফ উদ্দীন স্বপন জানান, হাকিমপুর গ্রাম থেকে একাধিক ব্যক্তির গরু লুট কথা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছেন। এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ রউফ খান জানান, গরু লুট বা বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুরের কোনো তথ্য তার কাছে নেই। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে তো থানায় অভিযোগ আসতো বলে তিনি মন্তব্য করেন।