ইপেপার । আজ বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

দামুড়হুদার বাস্তুপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত

জানাজা শেষে দুই বন্ধুর পাশাপাশি দাফন

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
  • আপলোড টাইম : ১০:২০:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

filter: 0; jpegRotation: 0; fileterIntensity: 0.000000; filterMask: 0; module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Auto; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 103.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

একই গ্রামে বেড়ে ওঠা, একসঙ্গে খেলাধুলা, আড্ডা বন্ধুত্বের গল্প ছিল তাদের। কিন্তু সেই বন্ধুত্বের সমাপ্তি হলো একসঙ্গে মৃত্যু আর পাশাপাশি কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়ার মধ্যদিয়ে। মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে আর ফেরা হলো না দুই বন্ধু নাহিদ ও সুইটের। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মুহূর্তেই প্রাণ হারান তারা। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে দুই বন্ধুকে পাশাপাশি দাফন করা হয়। তাদের অকাল মৃত্যুতে দুই পরিবার ও স্বজনদের কান্নায় এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে দুই পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।

জানা গেছে, গত শনিবার রাতে পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে নাহিদ ও সেলিম উদ্দিনের ছেলে সুইট বন্ধুদের একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফেরার পথে রাত ১১টার দিকে পুরাতন বাস্তুপুর কামারের দোকানের কাছে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে রাখা ট্রাক্টরের ট্রলিতে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুই বন্ধু।

পরিবারের সদস্যরা জানান, নাহিদ চার ভাই-বোনের মধ্যে মেজো। তিনি এবার পুরাতন বাস্তুপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। পরিবারের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে নিয়ে, কিন্তু মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে যায়। এদিকে, সুইট ছিলেন দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। ছয় মাস আগে তিনি সৌদি আরব থেকে বাড়ি ফিরেছেন। এরই মধ্যে তার মৃত্যু তার পরিবারে শোক নামিয়ে এনেছে। নাহিদের ছোট ভাইও প্রবাসে থাকেন।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ট্রাক্টরের ট্রলি এভাবে রাস্তার পাশে রাখা ঠিক হয়নি। নিরাপদ স্থানে রাখা হলে দুর্ঘটনাটি নাও ঘটতে পারত। তারা বলেন, রাস্তার পাশে বড় যানবাহন পার্কিংয়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, নইলে আরও এমন প্রাণহানি ঘটবে।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ও তাদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় লাশ দাফনের অনুমতি দিয়ে হস্তান্তর তরা হয়েছে। তবে ট্রাক্টরটি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দামুড়হুদার বাস্তুপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত

জানাজা শেষে দুই বন্ধুর পাশাপাশি দাফন

আপলোড টাইম : ১০:২০:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

একই গ্রামে বেড়ে ওঠা, একসঙ্গে খেলাধুলা, আড্ডা বন্ধুত্বের গল্প ছিল তাদের। কিন্তু সেই বন্ধুত্বের সমাপ্তি হলো একসঙ্গে মৃত্যু আর পাশাপাশি কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়ার মধ্যদিয়ে। মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে আর ফেরা হলো না দুই বন্ধু নাহিদ ও সুইটের। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মুহূর্তেই প্রাণ হারান তারা। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে দুই বন্ধুকে পাশাপাশি দাফন করা হয়। তাদের অকাল মৃত্যুতে দুই পরিবার ও স্বজনদের কান্নায় এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে দুই পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।

জানা গেছে, গত শনিবার রাতে পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে নাহিদ ও সেলিম উদ্দিনের ছেলে সুইট বন্ধুদের একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফেরার পথে রাত ১১টার দিকে পুরাতন বাস্তুপুর কামারের দোকানের কাছে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে রাখা ট্রাক্টরের ট্রলিতে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুই বন্ধু।

পরিবারের সদস্যরা জানান, নাহিদ চার ভাই-বোনের মধ্যে মেজো। তিনি এবার পুরাতন বাস্তুপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। পরিবারের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে নিয়ে, কিন্তু মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে যায়। এদিকে, সুইট ছিলেন দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। ছয় মাস আগে তিনি সৌদি আরব থেকে বাড়ি ফিরেছেন। এরই মধ্যে তার মৃত্যু তার পরিবারে শোক নামিয়ে এনেছে। নাহিদের ছোট ভাইও প্রবাসে থাকেন।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ট্রাক্টরের ট্রলি এভাবে রাস্তার পাশে রাখা ঠিক হয়নি। নিরাপদ স্থানে রাখা হলে দুর্ঘটনাটি নাও ঘটতে পারত। তারা বলেন, রাস্তার পাশে বড় যানবাহন পার্কিংয়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, নইলে আরও এমন প্রাণহানি ঘটবে।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ও তাদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় লাশ দাফনের অনুমতি দিয়ে হস্তান্তর তরা হয়েছে। তবে ট্রাক্টরটি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’