কেরুজ শ্রমিকের বদলিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা
কঠোর আন্দোলন আপাতত স্থগিত
- আপলোড টাইম : ১০:১৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
পূর্ব ঘোষিত দর্শনার কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের কঠোর আন্দোলন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল রোববার এ বিষয় শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ বলেন, ‘আপাতত কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’ সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী বলেন, ‘কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা যোগাযোগ রাখছি।’ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ‘ইউনিয়ন আমাদের কোনো কিছু জানাইনি। ইউনিয়ন আন্দোলন কর্মসূচি নিলে আমরা তাদের সাথে থাকব।’
এর আগে গত শুক্রবার কেরুজ শ্রমিকরা দর্শনা কেরুজ চিনিকলের জেনারেল অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দেন শ্রমিক রুপমের বদলি আদেশ প্রত্যাহার না হলে রোববার থেকে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দর্শনা কেরুজ শ্রমিক নেতার বদলিকে কেন্দ্র করে কেরু চিনিকল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। কেরুজ মেইন গেটে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তার অফিসকক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এর মধ্যে বেলা ২টা থেকে শ্রমিক নেতাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান শ্রমিকদের আশ^াস দিলেও কোনো কাজে আসেনি।
কেরু মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রমিক নেতাদের সাথে বৈঠক করে তাৎক্ষণিক রুপমের বদলি চিঠি প্রত্যাহারে জন্য বাংলাদেশ খাদ্য চিনি করপোশনের কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি চিঠি লিখে পাঠান। সেই চিঠি প্রতি উত্তর প্রাপ্তির জন্য রোববার পর্যন্ত শ্রমিকদের আন্দোলন বন্ধ রেখে অপেক্ষা করতে বলেন। তবে তারপরও শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে অনড় থাকেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
শ্রমিকেরা জেনারেল অফিসের সামনে চট পেতে বসে পড়ে বিভিন্ন ধরনের ¯ে¬াগান দিতে থাকেন। এর একপর্যায়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান হ্যান্ডমাইক নিয়ে শ্রমিকদের বারবার অনুরোধ করে আন্দোলন বন্ধ রাখতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে এক ধাপ এগিয়েছি। আমাকে রোববার পর্যন্ত সময় দেন। আমি বিষয়টি আন্তরিক ভাবে দেখব।’ এতেও রাজি নয় শ্রমিকেরা। এরপর তিনি অফিস থেকে নেমে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) অফিসার মমতাজ মহলের গাড়িতে উঠে বিদায় দিতে গেলে সেখানেও তাদের গাড়িটি প্রায় আধাঘণ্টা আটকে রেখে বিক্ষোভ করতে থাকেন। অবশেষের্ নিবাহী অফিসার গাড়ি থেকে নেমে রাব্বিক হাসান পুলিশের সহায়তায় আবার তার অফিসে যায়।