ইপেপার । আজ বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

যে যার জায়গা থেকে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে তুলনামূলক চুরি ও অপরাধপ্রবণতা বেড়েছে। তাই আমাদের সকলের চেষ্টা থাকবে যে যার জায়গা থেকে পুলিশকে সহযোগিতা করা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করা।’ গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। সভায় গত মাসের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পাঠ করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নাঈমা জাহান সুমাইয়া। তিনি জানান, জেলার ৫টি থানায় গত মাসের অপরাধচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

সভায় কেরুর বর্তমান অব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা উঠলে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চিনি ও খাদ্য কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, কীভাবে এটার সমাধান করা যায়, আমরা দেখব।’ জেলা প্রশাসক বলেন, ‘গ্রাম আদালতে কিছু মামলার নিষ্পত্তি হলে থানায় মামলার চাপ কমে। এখানে কোনো খরচ নেই। যে সকল মামলা গ্রাম আদালতে বিচারযোগ্য, সেগুলো গ্রাম আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিবেন। গ্রাম আদালতের আইনগত ভিত্তি আছে।’
আইনশৃঙ্খলা কমিটির আলোচনা সভায় সদস্যগণ জানান, চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে চুরি-ছিনতাই কিছুটা বেড়েছে। শহরের বেপরোয়া গতিতে কিশোর বয়সী ছেলেদের মোটরসাইকেল চালানো বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া গ্রাম আদালতের মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে আটকে না রেখে সেগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া, পুলিশি প্রতিবেদনের সময়ে আইনি দিকটা ভালোভাবে দেখা এবং গ্রাম আদালত সম্পর্কে আরও বেশি প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
হাসপাতালের সমস্যাগুলো নিয়ে সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘সদর হাসপাতাল চত্বর পরিচ্ছন্ন এবং উন্মুক্ত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। সে হিসেবে আমরা কাজ করছি। চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতাল চত্বরে কোনো ভ্রাম্যমাণ দোকান নেই।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এম. সাইফুল্লাহ, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ মেহেদী ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল-আমীন, এনএসআই’র উপ-পরিচালক শামসুল হক, জেলা শিক্ষা অফিসার দিল আরা চৌধুরী, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাকসুরা জান্নাত, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সাংবাদিক কামরুজ্জামান সেলিম, সাংবাদিক মেহেরাব্বিন সানভী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরীন আক্তার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।

পরে একই সম্মেলনকক্ষে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, আদালত সহায়তা, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ, মানব পাচার প্রতিরোধ, চোরাচালান নিরোধ সমন্বয়, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের নির্ভুল ও সমন্বিত পরিসংখ্যান প্রণয়ন, জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি, চোরাচালান নিরোধ, অনিষ্পন্ন চোরাচালান মামলাসমূহ সম্পর্কে মনিটরিং সেলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

যে যার জায়গা থেকে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে

আপলোড টাইম : ১০:০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে তুলনামূলক চুরি ও অপরাধপ্রবণতা বেড়েছে। তাই আমাদের সকলের চেষ্টা থাকবে যে যার জায়গা থেকে পুলিশকে সহযোগিতা করা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করা।’ গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। সভায় গত মাসের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পাঠ করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নাঈমা জাহান সুমাইয়া। তিনি জানান, জেলার ৫টি থানায় গত মাসের অপরাধচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

সভায় কেরুর বর্তমান অব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা উঠলে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চিনি ও খাদ্য কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, কীভাবে এটার সমাধান করা যায়, আমরা দেখব।’ জেলা প্রশাসক বলেন, ‘গ্রাম আদালতে কিছু মামলার নিষ্পত্তি হলে থানায় মামলার চাপ কমে। এখানে কোনো খরচ নেই। যে সকল মামলা গ্রাম আদালতে বিচারযোগ্য, সেগুলো গ্রাম আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিবেন। গ্রাম আদালতের আইনগত ভিত্তি আছে।’
আইনশৃঙ্খলা কমিটির আলোচনা সভায় সদস্যগণ জানান, চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে চুরি-ছিনতাই কিছুটা বেড়েছে। শহরের বেপরোয়া গতিতে কিশোর বয়সী ছেলেদের মোটরসাইকেল চালানো বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া গ্রাম আদালতের মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে আটকে না রেখে সেগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া, পুলিশি প্রতিবেদনের সময়ে আইনি দিকটা ভালোভাবে দেখা এবং গ্রাম আদালত সম্পর্কে আরও বেশি প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
হাসপাতালের সমস্যাগুলো নিয়ে সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘সদর হাসপাতাল চত্বর পরিচ্ছন্ন এবং উন্মুক্ত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। সে হিসেবে আমরা কাজ করছি। চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতাল চত্বরে কোনো ভ্রাম্যমাণ দোকান নেই।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এম. সাইফুল্লাহ, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ মেহেদী ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল-আমীন, এনএসআই’র উপ-পরিচালক শামসুল হক, জেলা শিক্ষা অফিসার দিল আরা চৌধুরী, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাকসুরা জান্নাত, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সাংবাদিক কামরুজ্জামান সেলিম, সাংবাদিক মেহেরাব্বিন সানভী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরীন আক্তার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।

পরে একই সম্মেলনকক্ষে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, আদালত সহায়তা, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ, মানব পাচার প্রতিরোধ, চোরাচালান নিরোধ সমন্বয়, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের নির্ভুল ও সমন্বিত পরিসংখ্যান প্রণয়ন, জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি, চোরাচালান নিরোধ, অনিষ্পন্ন চোরাচালান মামলাসমূহ সম্পর্কে মনিটরিং সেলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।