ইপেপার । আজ বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত, আহত ১৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা ও দর্শনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চালকসহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল শনিবার রাতে দামুড়হুদায়, বিকেলে সদর উপজেলার পাঁচমাইল এবং দর্শনায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গতকাল রাত এগারোটার দিকে দামুড়হুদা পুরাতন বাস্তপুরে রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা ট্রাক্টরের পেছনে ধাক্কা মেরে নাহিদ নাহিদ (১৯) ও সুইট (২৫) নামের দুই যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত নাহিদ উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে ও সুইট একই গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রাত ১১টার দিকে তারা মোটরসাইকেলযোগে রঘুনাথপুর থেকে বাস্তপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। তারা বাস্তপুর কামাড় বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা ট্রাক্টরের পেছনে তাদের ধাক্কা মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এদিকে, ঘটনার সময় রাস্তায় কেউ না থাকায় চালক মিনারুল ট্রাক্টরটি অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন। তবে স্থানীয়রা ট্রাক্টরটির সন্ধান পান এবং দুর্ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আনারুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম অজ্ঞাত কোনো যানের সঙ্গে মোটরকাইকেলটির সংঘর্ষ হতে পারে। কিন্তু দুর্ঘটনার কিছুসময় আগে মিনারুলকে সেখানে রাস্তার ওপর ট্রাক্টর রেখে বাড়িতে যেতে দেখেন অনেকেই। পরে সন্দেহ হলে রক্ত ও দুর্ঘটনার প্রমাণসহ ট্রাক্টরটি লুকিয়ে রাখা অবস্থায় স্থানীয়রা খুঁজে পান এবং এ দুর্ঘটনার রহস্য সামনে আসে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মিনারুল মাঝে মধ্যে ট্রাক্টরটি রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখতেন, যা দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘নিহতদের পরিবার লাশ শনাক্ত কয়েছে। প্রথমে দুর্ঘটনাটি অজ্ঞাত যানের সঙ্গে ঘটেছে ধারণা করা হয়। তবে তদন্তে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত হওয়া যায় সেখানে রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা ট্রাক্টরেরে সঙ্গে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাক্টরটি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে, গতকাল বেলা ২টার দিকে সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের পাঁচমাইল বাজারে আলমসাধুর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মারে। এতে চালক ও আলমসাধুর যাত্রী ৯ জন গরু ব্যাপারী আহত হন। তারা সবাই মেহেরপুর সদর উপজেলার দীঘিরপাড়ার বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃত আকালে আলীর ছেলে আলমসাধু চালক সুমন হোসেন (৩৩), মৃত আলম হোসেনের ছেলে ব্যাপারী আত্তাব আলী (৬৩), মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (৪৯), রেজাউল ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলামকে (৫৫) সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। এছাড়া একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে গরু ব্যাপারী রুবেল হোসেনসহ (৩১) অন্য চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

গরু ব্যাপরী রুবেল হোসেন জানান, দুপুরে দশমাইল পশুহাটে যাওয়ার সময় পাঁচমাইল বাজার পৌঁছালে আলমসাধুতে থাকা চারটির মধ্যে একটি গরু লাফ দিয়ে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এসময় আলমসাধুটির রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা লাগলে চালকসহ তারা ১০ জন আহত হন। আলমসাধুতে ১৩ জন ব্যাপারী ও চারটি গরু ছিল। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়।

অন্যদিকে, বিকেলে পাখি ভ্যানযোগে জীবননগরে যাচ্ছিলেন দামুড়হুদার কাদিপুর গ্রামের নাজমুল হোসেনের স্ত্রী রুপালী খাতুন (৪০) ও তার শিশুকন্যা ইলমা (৪)। পথে দর্শনা হঠাৎপাড়ায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস পাখিভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানটি উল্টে গেলে চালক নাইম হোসেনসহ (২৪), রুপালী খাতুন ও শিশু ইলমা গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে জখম গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রুপালী খাতুন ও শিশু ইলমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ডা. মেহেবুবা মুস্তারি বলেন, দুপুরে একটি আলমসাধু দুর্ঘটনায় চালকসহ ৯ জন আহত হয়ে জরুরি বিভাগে আসে। তাদের মধ্যে জখম গুরুতর হওয়ায় চারজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। অন্য পাঁচজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরে। এছাড়া বিকেলে পৃথক আরেকটি সড়কে দুর্ঘটনায় মা ও শিশুসহ তিনজন জখম হয়ে জরুরি বিভাগে আসে। তাদেরকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে মা ও শিশুকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের ইনর্চাজ এসআই আজগার ফরাজী ও টু আইসি ইব্রাহিম হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আহতদের উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করে তাদের সদর হাসপাতালে পাঠান। এসআই আজগার ফরাজী বলেন, ‘চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। আলমসাধুতে অতিরিক্ত যাত্রী এবং গরু পরিবহন করায় দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

দর্শনা থানার অফিসার ইনর্চাজ খন্দকার (ওসি) শহীদ তিতুমীর জানান, বাসের ধাক্কায় পাখিভ্যান চালকসহ নারী ও শিশু আরোহী জখম হয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা বাসটি আটক করে রাখে। পরে বাসটি থানা হেফাজতে নেয়া হয়। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ হয়নি। বাসের মালিক পক্ষ থেকেও কেউ আসেনি। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানূগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত, আহত ১৩

আপলোড টাইম : ১০:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা ও দর্শনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চালকসহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল শনিবার রাতে দামুড়হুদায়, বিকেলে সদর উপজেলার পাঁচমাইল এবং দর্শনায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গতকাল রাত এগারোটার দিকে দামুড়হুদা পুরাতন বাস্তপুরে রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা ট্রাক্টরের পেছনে ধাক্কা মেরে নাহিদ নাহিদ (১৯) ও সুইট (২৫) নামের দুই যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত নাহিদ উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে ও সুইট একই গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রাত ১১টার দিকে তারা মোটরসাইকেলযোগে রঘুনাথপুর থেকে বাস্তপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। তারা বাস্তপুর কামাড় বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা ট্রাক্টরের পেছনে তাদের ধাক্কা মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এদিকে, ঘটনার সময় রাস্তায় কেউ না থাকায় চালক মিনারুল ট্রাক্টরটি অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন। তবে স্থানীয়রা ট্রাক্টরটির সন্ধান পান এবং দুর্ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আনারুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম অজ্ঞাত কোনো যানের সঙ্গে মোটরকাইকেলটির সংঘর্ষ হতে পারে। কিন্তু দুর্ঘটনার কিছুসময় আগে মিনারুলকে সেখানে রাস্তার ওপর ট্রাক্টর রেখে বাড়িতে যেতে দেখেন অনেকেই। পরে সন্দেহ হলে রক্ত ও দুর্ঘটনার প্রমাণসহ ট্রাক্টরটি লুকিয়ে রাখা অবস্থায় স্থানীয়রা খুঁজে পান এবং এ দুর্ঘটনার রহস্য সামনে আসে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মিনারুল মাঝে মধ্যে ট্রাক্টরটি রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখতেন, যা দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘নিহতদের পরিবার লাশ শনাক্ত কয়েছে। প্রথমে দুর্ঘটনাটি অজ্ঞাত যানের সঙ্গে ঘটেছে ধারণা করা হয়। তবে তদন্তে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত হওয়া যায় সেখানে রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা ট্রাক্টরেরে সঙ্গে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাক্টরটি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে, গতকাল বেলা ২টার দিকে সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের পাঁচমাইল বাজারে আলমসাধুর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মারে। এতে চালক ও আলমসাধুর যাত্রী ৯ জন গরু ব্যাপারী আহত হন। তারা সবাই মেহেরপুর সদর উপজেলার দীঘিরপাড়ার বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃত আকালে আলীর ছেলে আলমসাধু চালক সুমন হোসেন (৩৩), মৃত আলম হোসেনের ছেলে ব্যাপারী আত্তাব আলী (৬৩), মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (৪৯), রেজাউল ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলামকে (৫৫) সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। এছাড়া একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে গরু ব্যাপারী রুবেল হোসেনসহ (৩১) অন্য চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

গরু ব্যাপরী রুবেল হোসেন জানান, দুপুরে দশমাইল পশুহাটে যাওয়ার সময় পাঁচমাইল বাজার পৌঁছালে আলমসাধুতে থাকা চারটির মধ্যে একটি গরু লাফ দিয়ে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এসময় আলমসাধুটির রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা লাগলে চালকসহ তারা ১০ জন আহত হন। আলমসাধুতে ১৩ জন ব্যাপারী ও চারটি গরু ছিল। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়।

অন্যদিকে, বিকেলে পাখি ভ্যানযোগে জীবননগরে যাচ্ছিলেন দামুড়হুদার কাদিপুর গ্রামের নাজমুল হোসেনের স্ত্রী রুপালী খাতুন (৪০) ও তার শিশুকন্যা ইলমা (৪)। পথে দর্শনা হঠাৎপাড়ায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস পাখিভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানটি উল্টে গেলে চালক নাইম হোসেনসহ (২৪), রুপালী খাতুন ও শিশু ইলমা গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে জখম গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রুপালী খাতুন ও শিশু ইলমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ডা. মেহেবুবা মুস্তারি বলেন, দুপুরে একটি আলমসাধু দুর্ঘটনায় চালকসহ ৯ জন আহত হয়ে জরুরি বিভাগে আসে। তাদের মধ্যে জখম গুরুতর হওয়ায় চারজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। অন্য পাঁচজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরে। এছাড়া বিকেলে পৃথক আরেকটি সড়কে দুর্ঘটনায় মা ও শিশুসহ তিনজন জখম হয়ে জরুরি বিভাগে আসে। তাদেরকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে মা ও শিশুকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের ইনর্চাজ এসআই আজগার ফরাজী ও টু আইসি ইব্রাহিম হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আহতদের উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করে তাদের সদর হাসপাতালে পাঠান। এসআই আজগার ফরাজী বলেন, ‘চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। আলমসাধুতে অতিরিক্ত যাত্রী এবং গরু পরিবহন করায় দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

দর্শনা থানার অফিসার ইনর্চাজ খন্দকার (ওসি) শহীদ তিতুমীর জানান, বাসের ধাক্কায় পাখিভ্যান চালকসহ নারী ও শিশু আরোহী জখম হয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা বাসটি আটক করে রাখে। পরে বাসটি থানা হেফাজতে নেয়া হয়। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ হয়নি। বাসের মালিক পক্ষ থেকেও কেউ আসেনি। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানূগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’