ইপেপার । আজ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

৬৫৩১ জন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা (অ্যাবসোলুট) করে রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে মেধার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রতিবাদে আদালতে হট্টগোল করেছে শিক্ষকরা। রায়ের পর থেকে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চের বিচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

হাইকোর্ট তার রায়ে আপিল বিভাগের কোট সংক্রান্ত সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
এদিকে, এই রায়ের পর সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণরা। এ সময় হাইকোর্ট বেঞ্চে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন তারা। একপর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল বিক্ষোভকারীদের শান্ত হতে এবং আদালতের সামনে বিক্ষোভ না করতে অনুরোধ করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ২৪ নম্বর এনেক্স হাইকোর্টের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। একপর্যায়ে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যায় তারা। সচিবালয়ের সামনে ব্যানার নিয়ে বসে পড়েন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। বেলা পৌনে ১টার দিকে সচিবালয়ের সবগুলো গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বরত পুলিশ সাংবাদিকদের জানান, বেলা পৌনে ১টার দিকে তারা সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনে এসে বসে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় গেটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ বঞ্চিত ৩০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিটটি করেন। গত ১৯শে নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে এই নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। আর রুলে ৩১শে অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ই নভেম্বরের নির্দেশনা-সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সে রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেন হাইকোর্ট।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ২৩শে জুলাই কোটা পদ্ধতি সংশোধনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবরের জারি করা পরিপত্রসহ আগের এ সংক্রান্ত সব পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করা হলো। ফলে আগের কোনো আদেশ বহাল থাকছে না। তবে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী বলেন এই ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের সেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়। যেখানে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

৬৫৩১ জন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল

আপলোড টাইম : ০৯:৪২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা (অ্যাবসোলুট) করে রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে মেধার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রতিবাদে আদালতে হট্টগোল করেছে শিক্ষকরা। রায়ের পর থেকে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চের বিচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

হাইকোর্ট তার রায়ে আপিল বিভাগের কোট সংক্রান্ত সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
এদিকে, এই রায়ের পর সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণরা। এ সময় হাইকোর্ট বেঞ্চে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন তারা। একপর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল বিক্ষোভকারীদের শান্ত হতে এবং আদালতের সামনে বিক্ষোভ না করতে অনুরোধ করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ২৪ নম্বর এনেক্স হাইকোর্টের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। একপর্যায়ে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যায় তারা। সচিবালয়ের সামনে ব্যানার নিয়ে বসে পড়েন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। বেলা পৌনে ১টার দিকে সচিবালয়ের সবগুলো গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বরত পুলিশ সাংবাদিকদের জানান, বেলা পৌনে ১টার দিকে তারা সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনে এসে বসে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় গেটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ বঞ্চিত ৩০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিটটি করেন। গত ১৯শে নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে এই নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। আর রুলে ৩১শে অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ই নভেম্বরের নির্দেশনা-সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সে রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেন হাইকোর্ট।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ২৩শে জুলাই কোটা পদ্ধতি সংশোধনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবরের জারি করা পরিপত্রসহ আগের এ সংক্রান্ত সব পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করা হলো। ফলে আগের কোনো আদেশ বহাল থাকছে না। তবে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী বলেন এই ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের সেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়। যেখানে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ