ঝিনাইদহে প্রান্তিক খামারিদের সমাবেশে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
বিল-বাওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের হাতে দিতে হবে
- আপলোড টাইম : ০৯:২৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বিল-বাওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে ইজারা দিতে হবে। অমৎস্যজীবীদের হাতে এসব ইজারা দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি জানান, তিনটি মন্ত্রণালয় ইজারা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে, দ্রুতই এর সমাধান হবে। গতকাল বুধবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হরিহারা স্কুলমাঠে প্রান্তিক খামারিদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ফ্যাসিবাদ মুক্ত। গত বছর এই সময়টায় ভাবাও যায়নি যে প্রাণ খুলে কথা বলা বা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করা যাবে। আগে এসব করলেই পুলিশ গ্রেপ্তার করত। তিনি বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দুধ আছে, কিন্তু সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত ভান্ডার নেই। এবার আমরা ক্যাটেল হাব তৈরির মাধ্যমে দুধ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করব। যাতে খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি টাটকা দুধ কেনার সুযোগ তৈরি হয়।’
অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, বাংলাদেশের দরিদ্র খামারিদের জন্য উন্নত জাতের শাহীওয়াল গাভী, ভেড়া ও ছাগল দিতে প্রস্তুত রয়েছে পাকিস্তান। এতে খামারিদের জীবনমান উন্নত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেসব সমস্যায় ভোগেন, পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদেরও একই সমস্যা রয়েছে। তবে আমরা মাংস ও দুধ উৎপাদনে অনেক এগিয়ে গেছি।’ তিনি জানান, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা পাঠানো হলে দ্রুতই উন্নত জাতের গবাদিপশু বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তরিকুল ইসলাম তুরকি। বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাড. মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমেদ মারুফ, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, এলডিডিপি প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আমিনুল হক, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, শৈলকুপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের সদস্য সচিব ওসমান আলী প্রমুখ।