ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাংনীতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার জাকির হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া ইকোপার্ক এলাকায় সাহারবাটী ইউনিয়ন ভূমি অফিস কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জাকির হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টার দিকে তাকে নিয়ে চ্যানেল এস টেলিভিশনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর নিয়ে প্রচারিত সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রচারিত সংবাদের প্রকৃত সত্যতা জানতে গেলে পুনরায় ভুক্তভোগী গাঁড়াডোব গ্রামের সেলিমের কাছে গেলে জানা যায়, তার স্ত্রী পারভীনা খাতুন একজন মানুষিক রোগী। তাকে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে চ্যানেল এসের প্রতিনিধি স্বপন হোসেন তহশিলদার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে এসব কথাবার্তা বলার জন্য শিখিয়ে দেয়। যা চ্যানেল এসে পরিবেশন করা হয়। পারভীনা প্রতিনিধির কথানুযায়ী শিখিয়ে দেওয়া কথাগুলো বলে কারণ তাকে যা বলতে বলা হয় সে তাই বলে।
ভুক্তভোগী রমজানের স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাকির হোসেনকে কোনো টাকা দেইনি। সাংবাদিক স্বপন আমাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মিথ্যা কথা বলতে বলে, যা আমি বলি এবং সে ভিডিও ধারণ করে নিয়ে যায়। পরে আমাকে আর কোনো টাকা দেয়নি ওই সাংবাদিক।

তহশিলদার জাকির হোসেন আরও উল্লেখ করেন, ইতিপূর্বে আমি ধানখোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে বদলি হয়ে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করলে সেখানে কর্মরত অবস্থায় এ মিথ্যা ভিডিও নিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে চ্যানেল এসের স্বপন হোসেন উপস্থিত হন আমার কাছে। এ ভিডিও প্রদর্শন করে আমার কাছ থেকে স্বপন ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। সে সময় আমি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর দেওয়া বাবদ কারও কাছ থেকে একটি টাকাও গ্রহণ করিনি। সুতরাং যাদের ভিডিও সংগ্রহ করেছেন তারা যদি আমার সম্মুখে এসে বলতে পারে একটি টাকাও গ্রহণ করেছি বা আমাকে দিয়েছে প্রমাণ হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাতে পারেন কিংবা আমার বিরুদ্ধে নিউজ করতে পারেন। আর আমি টাকা গ্রহণ করেছি প্রমাণ না করতে পারলে সাংবাদিক স্বপনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করবো বলে জানিয়ে দিই। কিন্তু স্বপন সেই মিথ্যা সংবাদ চ্যানেল এসে প্রচার করলো।
জাকির হোসেন বলেণ, আজ আমি স্বপনকে ১০ লাখ টাকা দিলে এমন মিথ্যা নিউজ প্রচারিত হতো না। এমন সংবাদ পরিবেশনে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ও মহল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নিউজ চ্যানেল এসে প্রচারে প্রতিনিধি স্বপনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

সাংবাদিক স্বপন হোসেন সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন জনসাধারণের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলেই উল্টোপাল্টা নিউজ করার চেষ্টা করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গাংনীতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৯:১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার জাকির হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া ইকোপার্ক এলাকায় সাহারবাটী ইউনিয়ন ভূমি অফিস কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জাকির হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টার দিকে তাকে নিয়ে চ্যানেল এস টেলিভিশনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর নিয়ে প্রচারিত সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রচারিত সংবাদের প্রকৃত সত্যতা জানতে গেলে পুনরায় ভুক্তভোগী গাঁড়াডোব গ্রামের সেলিমের কাছে গেলে জানা যায়, তার স্ত্রী পারভীনা খাতুন একজন মানুষিক রোগী। তাকে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে চ্যানেল এসের প্রতিনিধি স্বপন হোসেন তহশিলদার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে এসব কথাবার্তা বলার জন্য শিখিয়ে দেয়। যা চ্যানেল এসে পরিবেশন করা হয়। পারভীনা প্রতিনিধির কথানুযায়ী শিখিয়ে দেওয়া কথাগুলো বলে কারণ তাকে যা বলতে বলা হয় সে তাই বলে।
ভুক্তভোগী রমজানের স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাকির হোসেনকে কোনো টাকা দেইনি। সাংবাদিক স্বপন আমাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মিথ্যা কথা বলতে বলে, যা আমি বলি এবং সে ভিডিও ধারণ করে নিয়ে যায়। পরে আমাকে আর কোনো টাকা দেয়নি ওই সাংবাদিক।

তহশিলদার জাকির হোসেন আরও উল্লেখ করেন, ইতিপূর্বে আমি ধানখোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে বদলি হয়ে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করলে সেখানে কর্মরত অবস্থায় এ মিথ্যা ভিডিও নিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে চ্যানেল এসের স্বপন হোসেন উপস্থিত হন আমার কাছে। এ ভিডিও প্রদর্শন করে আমার কাছ থেকে স্বপন ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। সে সময় আমি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর দেওয়া বাবদ কারও কাছ থেকে একটি টাকাও গ্রহণ করিনি। সুতরাং যাদের ভিডিও সংগ্রহ করেছেন তারা যদি আমার সম্মুখে এসে বলতে পারে একটি টাকাও গ্রহণ করেছি বা আমাকে দিয়েছে প্রমাণ হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাতে পারেন কিংবা আমার বিরুদ্ধে নিউজ করতে পারেন। আর আমি টাকা গ্রহণ করেছি প্রমাণ না করতে পারলে সাংবাদিক স্বপনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করবো বলে জানিয়ে দিই। কিন্তু স্বপন সেই মিথ্যা সংবাদ চ্যানেল এসে প্রচার করলো।
জাকির হোসেন বলেণ, আজ আমি স্বপনকে ১০ লাখ টাকা দিলে এমন মিথ্যা নিউজ প্রচারিত হতো না। এমন সংবাদ পরিবেশনে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ও মহল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নিউজ চ্যানেল এসে প্রচারে প্রতিনিধি স্বপনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

সাংবাদিক স্বপন হোসেন সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন জনসাধারণের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলেই উল্টোপাল্টা নিউজ করার চেষ্টা করেন।